যেসব নারীদের প্রথম মাসিক হতে শুরু করেছে তাদের অনিয়মিত পিরিয়ড হতেই পারে৷ তখন শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়, যার ফলে এমনটা হয়৷ তাই এতে চিন্তার কোনো কারণ নেই৷ তবে অন্যদের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা৷
প্রত্যেক নারীর সাধারণত মাসে একবার পিরিয়ড হয়ে থাকে। পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া ভালো। তবে এক্ষেত্রে যদি ব্যত্যয় ঘটে তবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অনেক অবিবাহিত নারী রয়েছেন, যাদের মাসিক অনিয়মিত; তাদের মাতৃত্বের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এ নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে করলেও গর্ভধারণ করতে পারেন না। তাদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অনিয়মিত পিরিয়ড কী
প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মাসিক চলাকালীন পেট ব্যথা, পিঠ ব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে। আর যাদের এই মাসিক ঋতুচক্র প্রতি মাসে হয় না অথবা দুই মাস আবার কখনও ৪ মাস পর পর হয়, তখন তাকে অনিয়মিত পিরিয়ড বলে।
আসুন জেনে নেই নারীদের অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয়?
জরায়ুতে টিউমার
জরায়ুতে মায়োমা বা টিউমার থাকার কারণে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় খুব বেশি ব্লিডিং ও ব্যথা হয়ে থাকে৷ তাছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে টিউমারের সংখ্যা একাধিকও হতে পারে, যা খুব দ্রুত বড় হয়ে যেতে পারে৷ এই অবস্থায় অপারেশন করা জরুরি, বিশেষকরে যারা মা হতে চান৷
সিস্ট
ডিম্বাশয় বা ওভারিতে ‘সিস্ট’ হওয়ার কারণেও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে৷ সিস্ট হয়ে থাকে নানা আকারের এবং এগুলোর ভেতরে রক্ত এবং পানির মতো তরল পদর্থ থাকতে পারে৷ কখনো কখনো সিস্ট নিজে থেকেই, মানে কিছুদিনের মধ্যেই মিলিয়ে যায়৷ তবে তার আকার যদি চার সেন্টিমাটারের বেশি হয়, তাহলে অপারেশন করাই ভালো৷
প্রয়োজন অপারেশন
যোনির আশেপাশের নরম ত্বকে এবং জরায়ুর প্রবেশপথেও ছোট ছোট শক্ত ফুসকুড়ির মতো হয়ে থাকে৷ এটা সাধারণত মেয়েদের হরমোন এস্ট্রোজেন বা ইস্ট্রোজেনের কারণেই হয়ে থাকে৷ এক্ষেত্রেও ফুসকুড়ি অপারেশন করে বের করে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ৷
সতর্কতা
মেয়েদের শরীরে বেশ কিছু সমস্যা থাকে, যা নিয়ে সাধারণত সরাসরি কথা বলা হয় না, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে৷ মেয়েদের অনিয়মিত মাসিকও সেরকমই একটি সমস্যা৷ মাসিকের সময় শরীর কিছুটা খারাপ লাগা স্বাভাবিক, তবে নিয়মিত কোনো কষ্ট বা ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।