অন্যদিকে ২০০৯ সালে ২৫০ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ১৪৩ জনের এইডস ধরা পড়ে এবং মারা যান ৩৯ জন। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় এ বছর এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ জন এবং এইডস ধরা পড়ার সংখ্যা ৮৮ জন বেশি। এ বছর বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য সুযোগ ও মানবাধিকার’। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়ে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২১ বছরে দেশে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দুই হাজার ৮৮ জন। এর মধ্যে এইডস হয় ৮৫০ জনের এবং মারা গেছেন ২৪১ জন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ওই সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আমরা সফল হয়েছি। কারণ আমরা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে নেই। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে এ সংখ্যা খুবই কম। যৌনকর্মীদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আমির হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির। এ ছাড়া বিএমএর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশে ইউএনএফপির আবাসিক প্রতিনিধি আর্থার আরকেন, সেভ দ্য চিলড্রেন-ইউএসএ’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বারবারা বরজোন, এসআইটি-এইডস নেটওয়ার্ক চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।