ঈদে কেউ বাড়িতে যান, কেউ যান বেড়াতে। যেখানেই যাব হঠাৎই অসুখ বেধে যেতে পারে। তখন ডাক্তার দূরের কথা, ওষুধও না মিলতে পারে। তাই কিছু ওষুধ সঙ্গে নিয়ে গেলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা অনেকটাই এড়ানো যায়। দূরের যাত্রায় সবচেয়ে বেশি হয় বমি-সংক্রান্ত সমস্যা। যাঁদের বমির সমস্যা আছে, তাঁরা গাড়িতে ওঠার আধা ঘণ্টা আগে ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ যেমন অমিডন, মটিগাট, ডিফ্লাঙ্, অনসেট্রল বা ইস্টিমিটিল-জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। অবশ্যই সঙ্গে খাবার স্যালাইন রাখুন।
এ ছাড়া মাথাব্যথা বা যেকোনো ছোটখাটো ইনজুরির জন্য সঙ্গে প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ রাখা উচিত।
দূরের যাত্রায় একটা ফার্স্ট এইড বঙ্ রাখলে ভালো। আর যদি বাড়ি গিয়ে বেশি দিন থাকতে হয় সে ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে এটি। ফার্স্ট এইড বঙ্ যেকোনো সুপার শপ বা ভালো কোনো ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। এর সুবিধা হলো, এতে প্রাথমিক চিকিৎসার সব উপকরণই একসঙ্গে পাওয়া যায়। ফার্স্ট এইড বঙ্ পাওয়া না গেলে তুলা, স্যাভলন বা ডেটল ইত্যাদি অ্যান্টিসেপটিক রাখা যেতে পারে যেকোনো কাটা-ছেঁড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে।
যাঁদের ঠাণ্ডার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ রাখতে পারেন। এ ওষুধটি ঈদের মাংস খেলে অ্যালার্জি হলেও কাজে লাগবে। এ ছাড়া যেকোনো জ্বরের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সঙ্গে রাখা উচিত।
আবহাওয়া এবং খাদ্যাভাস পরিবর্তন হওয়ার কারণে অনেকের ডায়রিয়া দেখা দেয়। এজন্য মেট্রোনিডাজল গ্রুপের ওষুধ এবং খাবার স্যালাইন রাখুন। পেটের পীড়ায় কখনো কখনো সিপ্রোফ্লঙ্াসিন ট্যাবলেটও প্রয়োজন হয়। এটিও রাখতে পারেন।
অনেকের গ্যাসের সমস্যা হয়, এজন্য অ্যান্টি-আলসারেন্ট ওষুধ ভালো কাজ করে। তাই রাখতে পারেন রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, ইসমিপ্রাজল, প্যানটোপ্রাজল, র্যাবেপ্রাজল-জাতীয় ওষুধ।
আবার কিছু কিছু অসুখ নির্দিষ্ট অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। যেমন_পাহাড়ি অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব থাকে। এ ক্ষেত্রে ওই সব স্থানে যাওয়ার আগে কোন অসুখটি বেশি হয়ে থাকে, তা জেনে আগে থেকেই এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
ডা. মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
গ্রন্থনা : ই-হেলথ২৪ ডটকম ডটবিডি ডেস্ক