অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া ঘটিত একটি রোগ। ব্যাকটেরিয়াটির নাম ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটি একধরনের গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া। সাধারণত যেসব প্রাণী ঘাস খায় যেমন_ছাগল, ভেড়া, গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়। তবে আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে এলে মানুষও আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত মানুষ থেকে মানুষে এই রোগ ছড়ায় না।
যেহেতু আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে মানুষ অ্যানথ্রাঙ্ আক্রান্ত হতে পারে, তাই কিছু সতর্কতা নেওয়া জরুরি। যে পশু অ্যানথ্রাঙ্ আক্রান্ত হয়েছে, তার সংস্পর্শে না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বলা হয়, আক্রান্ত পশুর দুধ খেলেও অ্যানথ্রাঙ্ হতে পারে। এমনকি আক্রান্ত পশুর চামড়া, হাড় ও পশম দিয়ে তৈরি পণ্য থেকেও অ্যানথ্রাঙ্ হতে পারে। মূল কথা হলো, অ্যানথ্রাঙ্ জীবাণুর স্পোর মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে বা বাড়িতে পশু রাখার সময় তাই বাড়তি কিছু সতর্কতা নেওয়া যেতে পারে। যেমন_একধরনের মাছি আছে (গ্রামে ডাঁশ নামে পরিচিত), যা গরু-ছাগলকে কামড়ায়, এটা যদি আক্রান্ত পশু কামড়ানোর পর মানুষকে কামড়ালে অ্যানথ্রাঙ্ হতে পারে। সাধারণত এই মাছি মানুষকে কম কামড়ায়। তবুও গরু-ছাগলের হাটে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে যাওয়াই ভালো।
অ্যানথ্রাঙ্ জীবাণুর স্পোর শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলেও অ্যানথ্রাঙ্ হতে পারে। তবে এভাবে খুব বেশি অ্যানথ্রাঙ্ হয় না। তবুও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করে গরু-ছাগলের হাটে যেতে পারেন।
তবে অ্যানথ্রাঙ্ নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। পশুর হাটে যথেষ্ট তদারকি থাকে এবং ইতিমধ্যে দেশে অ্যানথ্রাঙ্ পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তাই পশু কিনতে হাটে যাওয়া বিপদের কারণ হওয়ার কথা নয়।
ডা. শামীমুর রহমান
বিএসএমএমইউ, ঢাকা