ভারত থেকে আসে কোরবানির অনেক পশু। অ্যানথ্রাঙ্রে জন্য ভারত সরকার তাদের দেশের কিছু এলাকায় রেড এলার্ট জারি করেছে। রোগাক্রান্ত কোনো পশু যেন বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য সরকার দশটি সীমান্তে ভেটেরিনারি সার্জন নিয়োগ করেছে। আর দেশেও রেড এলার্ট তুলে নিয়েছে সরকার। তাই এই ঈদেও গরুর মাংস খাওয়ায় তেমন কোনো বাধা নেই। তবে গরু কেনার সময় নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।
অসুস্থ গরুর লক্ষণ
– গরুর কানের কাছে হাত দিলে বোঝা যাবে গরুর জ্বর আছে কি না? গরুর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১০৭ ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে।
– শ্বাস কষ্ট হবে।
– লোম খাড়া হয়ে যাবে, শরীরে কাঁপুনি দেখা দেয়। বিশেষ করে পেছনে কোমরের উপরে কাঁপুনি দেখা দিবে।
– অ্যানথ্রাঙ্ েআক্রান্ত পশু ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারা যাবে।
– পশু ঝিম মেরে থাকবে।
– খাওয়া বন্ধ করে দেবে। গরুর সামনে কিছু খাবার ধরতে হবে। বিশেষ করে সবুজ পাতা বা ঘাস যা গরু খেতে পছন্দ করে। খেয়াল করতে হবে গরু জাবর কাটছে কিনা।
লক্ষ করুন
– অ্যানথ্রাঙ্ রোগে যে মাংস কাটাকুটি করবে বা রান্না করবে তার চেয়ে যে মাংস খাবে তার ঝুঁকি অনেক কম।
– যদি অ্যানথ্রাঙ্রে স্পোর শ্বাসতন্ত্রে চলে না যায় এবং ত্বকে যদি থেকে যায়, তবে সাধারণ ওষুধপত্রের মাধ্যমে সেরে যায়।
– যারা পশু জবাই এবং মাংস রান্নার সঙ্গে জড়িত, তাদের মাংস কাটা ও ধোয়ার পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
– গরুর মাংসের কাবাব খেলে ভালো সেদ্ধ মাংস দিয়ে তৈরি করা কাবাব খাবেন।
– মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
– অ্যানথ্রাঙ্ কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়, তাই মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায় না।
ডা. ইয়ামিন শাহারিয়ার
সহকারী অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ
ও বিধানচন্দ্র দাস
সহকারী ডিরেক্টর, অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড অ্যাডমিন