Connect with us

প্রধান খবর

এভিডেন্স বেইজড মেডিসিনে ১৭০ শিক্ষক-চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দিলো বিএমইউ

Published

on

চিকিৎসা ব্যয় কমানো থেকে শুরু করে রোগীর মৃত্যুহার হ্রাস–এমন বহুমুখী সুফল আনতে পারে এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বা প্রমাণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিদ্যা। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এ পর্যন্ত ৩৪টি বিভাগের মোট ১৭০ জন শিক্ষক ও চিকিৎসককে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই প্রশিক্ষণ মেডিকেল ও ক্লিনিক্যাল অডিট এবং বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা চর্চায় বড় ভূমিকা রাখবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে ৮টি বিভাগের শিক্ষক ও চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে প্রমাণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিদ্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সনদ বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ডা. নুরুন নাহার খানম এবং সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পরিচালক ডা. দীনে মুজাহিদ মোহাম্মদ ফারুক ওসমানী।

ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন প্র্যাকটিস চিকিৎসা ব্যয় কমানোর পাশাপাশি রোগীর মৃত্যুহার হ্রাসে ভূমিকা রাখবে। একই রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অযথা তারতম্যও কমে আসবে। এটি চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

Advertisement

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই কর্মশালা শিক্ষক ও চিকিৎসকদের নিজেকে দক্ষ করে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। সঠিক জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন স্বাস্থ্যখাতকে আরও এগিয়ে নেবে।

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্টার ডা. মারিয়া মাহতাব বলেন, এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশের সব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছড়িয়ে দিতে হবে। এটি জাতীয় কর্মসূচীতে পরিণত করা জরুরি।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় রিউমাটোলজি, হেপাটোবিলিয়ারি ও লিভার ট্রান্স প্ল্যান্ট সার্জারি, শিশু কার্ডিওলজি, ভাইরোলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট অ্যান্ড এন্ডোডনটিক্স, গাইনীকোলজিক্যাল অনকোলজি, অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনীকোলজি এবং রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোকাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের মোট ২৯ জন শিক্ষক-চিকিৎসক অংশ নেন। এছাড়া অংশ নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মীর রাশেখ আলম অভি ও ডা. মারিয়া মাহতাব।

প্রশিক্ষণটির ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement