Connect with us

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তপাত হলেই কি মিসকারেজ?

Published

on

একটি সুস্থ সন্তান পৃথিবীর আলো দেখানোর চেষ্টা কোন মায়ের না থাকে? তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নারী মনে উদ্বেগ ও ভীতি কাজ করে। গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যায় কিনা?

গর্ভাবস্থায় অনেক সময় রক্তপাত হয়। তবে সব রক্তপাত মিসকারেজের লক্ষণ নয়। কিছু ক্ষেত্রে রক্তপাত হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

অ্যাবরশন হয়ে গেলে ভ্রূণ বা গর্ভস্থ শিশুকে বাঁচানো যায় না। তবে থ্রেটেন্ড অ্যাবরশনের ( threatened abortion) ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ গর্ভকাল পেরিয়ে একটি সুস্থ শিশু জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে থ্রেটেন্ড অ্যাবরশনের পরেও সুস্থ সন্তানের জন্ম হয়।

রক্তক্ষরণ হলেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। বিশেষ করে বিপদচিহ্ন দেখা দিলে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন।

গর্ভধারণের প্রথম ১২ বা ১৫ দিনের মধ্যে হালকা রক্তপাত হতে পারে প্রকৃতপক্ষে, ইমপ্লান্টেশনের কারণে হয়, যখন নিষিক্ত ভ্রূণ জরায়ুতে প্রবেশ করে তখন হালকা এই রক্তপাত কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।

Advertisement

অন্তঃসত্ত্বা নারী জরায়ুর সংকোচনও অনুভব করতে পারেন। মনে হতে পারে, তলপেট কামড়ে ধরেছে। তা ছাড়া কোমরে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে। এসব উপসর্গ থাকতে পারে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে থ্রেটেন্ড অ্যাবরশনের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে এসব কারণ—মায়ের ডায়াবেটিস বা হরমোনের তারতম্য, মায়ের জরায়ুর টিউমার, জরায়ু বা জরায়ুমুখের গঠনগত ত্রুটি, অল্প কিছু ক্ষেত্রে মায়ের অতিরিক্ত ওজন, বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কোনো মারাত্মক শারীরিক আঘাত, জরায়ুমুখের পলিপ, ভ্রূণের ক্ষতি করতে সক্ষম এমন কোনো জীবাণুর সংক্রমণ, গর্ভফুলের অস্বাভাবিকতা, ধূমপান বা ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাবকে দায়ী মনে করা হয়।

বিভিন্ন কারণে অন্তঃসত্ত্বা নারী রক্তপাত হতে পারে যেকোনো সময়। এতে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকেরপরামর্শ মত চলতে হবে।

লেখক: উপপরিচালক
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement