সাধারণত ফুসফুস কতটা সুস্থ রয়েছে তা নির্ভর করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের হিসেবে বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতার ওপর। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের বাতাস ধারণক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে একে সুস্থ রাখতে পারলেই অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ কারণে ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ফুসফুসের যত্ন নেওয়া জরুরি।
বয়স ৪০ পার হলেই এ বিষয়ে অধিক মনোযোগ দিতে হবে। আর যাদের বয়স এখনো ৪০ হয়নি তাদের উচিত আগে থেকেই ফুসফুসের যত্ন নেওয়া। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রয়েছে নানা রকম ব্যায়াম, বিশেষ করে কিছু কার্ডিও এক্সারসাইজ। সঙ্গে অবশ্যই শ্বাসের কিছু ব্যায়াম, নিজের ওঠাবসার প্রতি খেয়াল রাখা, ধূমপান ত্যাগ করা ফুসফুসের যত্নের জন্য জরুরি। ফুসফুসের অ্যালভিওলাই যত শক্তিশালী হবে ও ফুসফুসের পেশিগুলো যত মজবুত হবে, ততই তার বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়বে। কার্ডিও এক্সারসাইজ: সাইক্লিং, রোয়িং, ট্রেডমিল এই সব কার্ডিও এক্সারসাইজগুলো ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে খুব উপযোগী। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা অভ্যাস করা উচিত নয়, বরং মাঝে মাঝে কিছুটা বিরাম নিয়ে এই ধরনের ব্যায়াম রপ্ত করতে পারলে তা ফুসফুসকে মজবুত করে।
শরীরের অন্যান্য রোগের ওপর নির্ভর করে এই ধরনের ব্যায়ামের সময়সীমা নির্ধারণ করেন চিকিত্সকরা। তাই এই ব্যায়ামগুলোর আগে ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও ট্রেনারের পরামর্শ প্রয়োজন। শরীরের গঠন অনুযায়ী নারীর তুলনায় পুরুষের ফুসফুসের ধারণক্ষমতা বেশি হয়। কিন্তু দীর্ঘ অনিয়ম ও অযত্নে তা কমতে পারে। আবার একটু বেশি যত্ন নিলে নারীর ফুসফুসের ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে তাকে সুস্থ রাখা যায়।