আশির দশকে এরশাদ আমলে ঢাকায় যখন প্রথম সোডিয়াম বাতি লাগানো হলো, তখন ঘটা করে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ‘তিলোত্তমা’ তথা ‘সুন্দরের রানি’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে ঢাকাকে। সেই আশা কবেই ‘গুড়ে বালি’। ‘তিলোত্তমা’ দূরে থাক, এখন যেন ইজ্জত বাঁচানোই দায়!
বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ঢাকা একের পর এক বিভিন্ন রেকর্ড করে চলছে, তথা প্রথম দিকে অবস্থান করে নিয়েছে। পরিহাস হলো, সেগুলো ইতিবাচক কোনো কিছুর জন্য নয়, বরং বিভিন্ন নেতিবাচক কারণে।
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা—কোনো ঋতুতেই যেন ঢাকা নিরাপদ বা আরামদায়ক নয়। কিছুদিন আগে বায়ুদূষণে টানা অনেক দিনের জন্য সারা বিশ্বে প্রথম স্থানে ছিল ঢাকা। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামতে নামতে প্রায় ৩০০ ফিটের নিচে নেমে গেছে, এটিও সম্ভবত একটি রেকর্ড। বর্ষায় একপশলা বৃষ্টি হলেই সারা শহর পানিতে সয়লাব হয়ে যায় বা জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যানজট, শব্দদূষণ, পানিদূষণ—কীসে নাকাল নয় ঢাকাবাসী?
এই তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে ‘তাপপ্রবাহ’।
কেন এই তাপপ্রবাহ
সবারই প্রশ্ন, ঢাকায় এই তাপপ্রবাহ কেন এত বেশি? বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবের বিষয়টি একটি বড় কারণ—এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এ প্রভাবের বিষয়টি অন্য সব দেশ বা শহরগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ঢাকার তাপপ্রবাহের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উষ্ণায়নই একমাত্র কারণ নয়। এর পাশাপাশি যে কারণটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো ‘নগর উষ্ণায়ন’। এটা নগরবিজ্ঞানের আরেকটি বহুল প্রচলিত বৈজ্ঞানিক পরিভাষা, যা ‘আরবান হিট আইল্যান্ড’ বা ‘নগর তাপ দ্বীপ’ হিসেবে পরিচিত। এর মূল কথা হলো স্থানীয় নিয়ামকগুলোই তাপপ্রবাহের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ গ্রাম থেকে আপনি যখন শহরে প্রবেশ করবেন, ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তাপমাত্রার এই ব্যবধান সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্তও হতে পারে।
এই তাপমাত্রার ব্যবধান কেন হয় এবং এর থেকে পরিত্রাণ বা মাত্রা কীভাবে কমানো যায়? নগরবিদ ও প্রকৌশলীরা নিরন্তর এ নিয়ে গবেষণা কিংবা পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিশ্বব্যাপী অর্ধেকেরও বেশি মানুষ আজকাল শহরে বাস করে এবং শহরের বাসিন্দাদের অংশ দিন দিন আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরগুলো প্রায়ই এই ‘তাপ দ্বীপে’ পরিণত হয়, যা মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। কর্মক্ষমতা হ্রাস, তথা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারের মতো অর্থনৈতিক প্রভাবও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
একটি শহর কেন ‘তাপ দ্বীপে’ পরিণত হয়
গাছপালা ও জলাধারসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক ভূমি-আবরণবিশিষ্ট একটি অঞ্চলকে যখন শহরে রূপান্তরিত করা হয়, তখন সেই শহরে ইট-পাথরের আবরণ দেওয়া হয়। মাটি বা ভূমির ওপর ফুটপাত, রাস্তা, বহুতল ভবনসহ বহু ধরনের স্থাপনা ও অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যখন মাটি বা ভূমি এ ধরনের স্থাপনা দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়, তা অধিক তাপ শোষণ করে এবং ধরে রাখে। এতে করে সেই অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
এ জন্য নগরবিজ্ঞানে একটি শহরে ন্যূনতম কিছু অংশ প্রাকৃতিক আবরণ তথা সবুজ বনায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়ে থাকে। সে হিসাবে একটি শহরের জন্য কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সবুজ জায়গা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কাগজে-কলমে ঢাকায় এটি আছে মাত্র ৮ শতাংশের মতো। বাস্তবে কতটুকু, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
জলাভূমিও তাপমাত্রা কম থাকার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। কক্সবাজারে গেলে দেখা যায়, ঢাকার তুলনায় শীতে গরম আর গরমে ঠান্ডা। আবহাওয়া সমভাবাপন্ন রাখতে পানিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
ঢাকার জলাভূমি সব ভরাট। খোলা জায়গা তথা খেলার মাঠ তো নাই বললেই চলে। বিএনবিসি’তে বাড়ি নির্মাণে খোলা জায়গা রাখার নিয়ম আছে। এটা এই কারণে যে এই খোলা অংশ প্রাকৃতিক আবরণ তথা গাছগাছালি পূর্ণ হবে। খোলা জায়গা দিয়ে মাটিতে পানি প্রবেশ করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ধীরে ধীরে ভরাট করবে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, গাড়ির গ্যারেজ, কেয়ারটেকার কিংবা দারোয়ানের থাকার জন্য সেটি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক ভূমিরূপ আসলে কিছুই থাকে না।
বাংলাদেশের মতো একটি উষ্ণমণ্ডলীয় দেশে ঘরবাড়ির নকশার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। কেননা বছরের একটি লম্বা সময় ধরে আমাদের গরমকাল থাকে। শীত স্বল্প সময়ের। ফলে চারপাশের বাড়ি-ঘর এমনভাবে তৈরি করা এবং পরিবেশ এমন রাখা উচিত, যাতে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে।
আমাদের দেশে বড় শহরগুলোয় সবার বাসায় ফ্যান কিংবা এসি থাকে। অথচ উত্তর ইউরোপ বা কানাডায় গেলে আপনি দেখবেন যে কারও বাসাতেই ফ্যান বা এসি নেই। সেখানে যা আছে, তা হচ্ছে ‘হিটার’। শীত আমাদের জন্য আরামদায়ক, আর তাই ‘শীতের ছুটিত’ বনভোজনে বের হই কিংবা কোথাও ছুটি কাটাতে যাই। ইউরোপ-আমেরিকায় হয় উল্টো।
সেখানকার মানুষেরা ছুটি কাটান সামার ভ্যাকেশনে, অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে। তাদের ঘরবাড়ির নকশা বা ডিজাইন করা হয় সেখানকার পরিবেশ ও জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে। ঘরবাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে যেসব সামগ্রী ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
কিন্তু আফসোসের বিষয়, ইউরোপ বা আমেরিকার অনুকরণে ঢাকায় বহুতল ভবন নির্মাণে এমন কিছু নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জলবায়ুতে মোটেই উপযোগী নয়। এর একটি বড় উদাহরণ হলো দেয়াল হিসেবে কাচের ব্যবহার। শীতপ্রধান দেশে কাচের দেয়ালে ঘেরা ‘গ্রিনহাউস’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে ফসল উৎপাদনের জন্য। কাচের ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে, কিন্তু বিকিরিত হওয়ার পর সেটা ঘরের ভেতর থেকে বের হতে পারে না। ফলে বাইরে মাইনাস তাপমাত্রা থাকলেও ভেতরে উষ্ণ পরিবেশে ফসল ফলানো যায়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী ‘গ্রিনহাউস ইফেক্ট’ কথাটি মূলত সেখান থেকেই এসেছে।
বাড়িঘরের ক্ষেত্রেও কাচের ব্যবহার শীতপ্রধান দেশে তাই স্বাভাবিক। ঘরের ভেতরের উষ্ণতা বাড়াতে পারলে তাদের লাভ। ‘হিটার’-এর জন্য বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। কিন্তু ঢাকার মতো শহরের জন্য এটি ক্ষতিকর। একটি কাচের ঘর অধিক উষ্ণ হওয়ায়, শীতলায়নের জন্য এসি ব্যবহার করতে গিয়ে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হচ্ছে। আর ভেতরের সেই গরম বাতাস যখন বাইরে ছাড়া হচ্ছে, বাইরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
আমাদের দেশের স্থপতি-প্রকৌশলীরা কি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন? তাহলে তাঁরা কেন এ ধরনের নকশা বা ডিজাইন করছেন, যার জন্য শহরে উষ্ণায়ন আরও বেড়ে যাচ্ছে?
‘গ্রিন বিল্ডিং’ নির্মাণের ধারণা
বাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল ‘গ্রিন বিল্ডিং’ ধারণাটি এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর মানে হচ্ছে, স্থাপনাটিতে পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার কমে হবে, কম আবর্জনা উৎপন্ন করবে, পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হবে ইত্যাদি। বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীতে যত বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়, তার একটা বড় অংশ খরচ হয় বাসা-বাড়ি আর অফিস-ফ্যাক্টরির মতো স্থাপনা আলোকিত করা ও তাপনিয়ন্ত্রণের কাজে। এসব কাজে কম বিদ্যুৎ খরচ মানে কম জ্বালানি ব্যবহার, কম গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ, কম খরচ।
ভবনে কোনো ধরনের রং ব্যবহার করলে সূর্যালোক শোষিত না হয়ে বিকিরিত হয়ে ফিরে যাবে, এটিও এখানে হিসাবে আনা হয়। যেমন সাদা বা হালকা রঙের ব্যবহার। এ ধরনের রঙের স্থাপনা কম উত্তপ্ত হয়। আবার গাঢ় রং ব্যবহার করলে স্থাপনা বেশি উত্তপ্ত হয়।
ঘরের ভেতর দিয়ে আলো ও বায়ুর পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ঘরটি উত্তপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। দেয়ালে কোনো ধরনের ইট বা নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হবে, এসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। বলা হয়ে থাকে, গ্রিন বিল্ডিং ধারণার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা যায়। একই সঙ্গে চারপাশের পরিবেশের উন্নতি করা যায়।
‘গ্রিন বিল্ডিং’ ধারণার ওপর ভিত্তি করে একটি সার্টিফিকেশন আছে। লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) বা ‘লিড’ হলো এ রকম একটি গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম, যা বিশ্বব্যাপী বহুল পরিচিত। বাংলাদেশের অনেকগুলো পোশাক কারখানা ইতিমধ্যেই এটি লাভ করেছে। সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে লিড সার্টিফায়েডপ্রাপ্ত গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা ২০৪।
দাবি করা হয়ে থাকে, সারা বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি লিড সার্টিফায়েড গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ শিল্প ইউনিটের অর্ধেকই রয়েছে বাংলাদেশে। বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের সুনাম প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের পোশাক কারখানাগুলো বৈজ্ঞানিক নিয়ম মেনে ভবন তৈরি করেছে। কিন্তু আফসোসের বিষয়, বাড়ি বা অফিস নির্মাণের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে এ রকম আগ্রহ তেমন একটা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এর একটি কারণ হতে পারে, এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণে শুরুতে খরচ বেশি হয়। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখলে এ ধরনের পরিবেশবান্ধব স্থাপনা নির্মাণ করা অনেক বেশি লাভজনক। বিশেষ করে, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের মাধ্যমে এটা লাভজনক হওয়াটা নিশ্চিত।
এ ধরনের স্থাপনা তৈরি হলে ‘আরবান হিট আইল্যান্ড’-এর প্রভাব কম হতো। রাজউক কিংবা বিএনবিসি নির্মাণ বিধিমালায়, এই ধারণাগুলো সংযোজনের মাধ্যমে আমাদের নগর পরিবেশ অনেকাংশেই উন্নত করা সম্ভব ছিল।
কিছু সাম্প্রতিক উদ্যোগ, যেমন ছাদকৃষি খুবই আশাব্যঞ্জক একটি বিষয়। ইটপাথরের জঞ্জালে পূর্ণ এই ঢাকায় নিতান্তই একটু সবুজের আশায়, সাধারণ নাগরিকদের উদ্যোগে নগরীতে ছাদকৃষি এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
বন বিভাগের ভাষ্যমতে, একটি গাছ বছরে ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের সমান কাজ করে। ছাদের এই ছোট গাছগুলোর সম্মিলিত প্রভাবে এভাবেই হয়তো ঢাকার বাতাস থেকে প্রতিদিন হাজারো এসির সমান তাপ শোষিত হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হচ্ছে। এটা জলাবদ্ধতা নিরসনেও কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারের উচিত, ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই ছাদকৃষি আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। নগরীর দুই মেয়রের কাছে সেই আবেদন রইল!
শেষ কথা
‘বাসের অযোগ্য’ শহরের তালিকায় ইতিমধ্যেই ঢাকা বেশ কয়েকবার ‘চ্যাম্পিয়ন’ হয়েছে। অথচ ঢাকা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। বলা হয়ে থাকে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০% এখানে বাস করলেও, অর্থনীতিতে এর অবদান প্রায় ২৫%। আবার দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর, নীতিনির্ধারক ও বিত্তশালীদের বাস এখানে। তাহলে তাঁরা কি নিজেদের স্বার্থটাও বুঝছেন না?
একটি সুস্থ-সুন্দর ঢাকা গড়ার ক্ষেত্রে তাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আশা করি নীতিনির্ধারকেরা ঢাকায় পরিবেশবান্ধব স্থাপনা তথা পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তুলতে নতুন ধারণাগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহারে সচেষ্ট হবেন।
মো. সিরাজুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার রিসার্চ অ্যান্ড সার্ভিসেসের পরিচালক।