“কারও জীবন ও মৃত্যুর ব্যবধান ঘুচিয়ে দেওয়ার কারণ হতে পারেন আপনি, এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের,” বলেছেন ডাব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস।
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন দেশে তরুণদের সতর্কতামূলক নানা বিধিনিষেধ না মানার খবর দেখে শুক্রবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া কভিড-১৯ রোগে সারাবিশ্বে এই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে আড়াই লাখ মানুষ। এতে মৃত্যু ঘটেছে ১১ হাজারের বেশি মানুষের, যার অধিকাংশই প্রবীণ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বের প্রায় সব দেশে জনসমাগম নিষিদ্ধ, বিমান চলাচল বন্ধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি, নাগরিকদের ঘরে আবদ্ধ রাখাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ঝুঁকি কম মনে করে আসা তরুণদের সেসব নির্দেশনা পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে বিভিন্ন দেশ থেকে অভিযোগও আসছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গ্যাব্রিয়েসাস বলেন, “যদিও বয়সী মানুষদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে, তবুও তরুণদের প্রতি আমি বলব, আপনারাও ঝুঁকিমুক্ত নন।
“এই ভাইরাস আপনাকেও হাসপাতালে পাঠাতে পারে, আপনাকে দুর্বল করে তুলতে পারে, এমনকি মৃত্যু ঘটাতে পারে।”
এমনকি আক্রান্ত হয়ে কোনো তরুণ অসুস্থ না হলেও তার বিচরণে ঝুঁকিতে থাকা কারও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কার কথাও জানান গ্যাব্রিয়েসাস।
সেজন্য তরুণদের অবাধে ঘোরাফেরা এবং প্রবীণদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিতে যে চার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, তাদের গড় বয়স ৭৮ বছর।
চীনে যে তিন হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, তাদের মধ্যে ৫০ বছরের কম বয়সীর হার ১ শতাংশের কম।
তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বয়সীদের মৃতের হার বেশি হলেও ঝুঁকি সব বয়সীদেরই।
ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন এক মানুষের অন্যের চেয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে।