Connect with us

নির্বাচিত

ওএসডি কর্মকর্তাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে পদায়ন!

Published

on

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট্রে পদায়নের অভিযোগ উঠেছে ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) বেতন ভাতা প্রদানে নিজের আদেশ দেওয়ার বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে উল্লেখ করেছেন তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকের এমডির এসব কার্যক্রম এখতিয়ার বহির্ভূত ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি উল্লেখ করে এর ব্যাখ্যা তলব করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি তাঁর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

সেবা বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন-২ শাখার যুগ্ম সচিব শারাবান তাহুরা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট্রের ০৭/০৭/২০২৫ তারিখের ১৮৪ নম্বর স্মারকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের ট্রাস্টে পদায়ন সংক্রান্ত অফিস আদেশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, আপনি ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি উপপরিচালককে পরিচালক (পরিকল্পনা ও মনিটরিং) পদে, সহকারী পরিচালককে পরিচালক (মাঠ প্রশাসন) পদে এবং মেডিকেল অফিসারকে পরিচালক (প্রশিক্ষণ) পদে পদায়ন করেছেন; এবং পরবর্তীতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট্রের ০৮/০৭/২০২৫ তারিখের ১৮৯ নম্বর অফিস আদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি মেডিকেল অফিসারকে উপ-পরিচালক (আইসিটি, গবেষণা ও সমন্বয়) পদে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে উপপরিচালক (মাঠ প্রশাসন) এবং উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও মনিটরিং) পদে পদায়ন করেছেন, যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এখতিয়ারাধীন।’

‘গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ফেসবুক পেজে ৬৩৪ জন কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ প্রোভাইডারকে (সিএইসিপি) বেতন ভাতা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন। নিজেকে কোমল হৃদয়ের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের কান্নাকাটি সহ্য করতে না পেরে তাদের বেতন ভাতা প্রদান করে আপনি ফেসবুকে আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে উক্ত ৬৩৪ জন সিএইচসিপি এর বেতন ভাতা প্রদানের অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আপনি এবং পরবর্তীতে ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি মহোদয় পত্র প্রেরণ করেছেন, যা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বিবেচনাধীন রয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও সিদ্ধান্ত ব্যতীত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এ ধরনের আদেশ প্রদান এখতিয়ার বহির্ভূত’—উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘উল্লিখিত শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও এখতিয়ার বহির্ভূত কার্যক্রমের জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ২০১৮’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা পত্র প্রাপ্তির ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সেইসাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এতদসংক্রান্ত পত্র ও আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো।’

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব প্রদানের ব্যর্থতায় বিধি মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement