Connect with us

নির্বাচিত

এনাম মেডিকেলে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন ও গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা

Published

on

শিক্ষকতাকে একটি সহযোগিতামূলক পেশা হিসাবে পুনর্গঠন—এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয়বারের মতো উদযাপিত হলো বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা।

রোববার (৫ অক্টোবর) কলেজের গ্যালারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর আগে শিক্ষকদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনাম শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহবুব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোতাহার হোসেন ভূঁইয়াসহ শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে গুণী শিক্ষক হিসেবে সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ দাস, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদা বেগমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাাশি অব্যাহত চিকিৎসা শিক্ষা (সিএমই) বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ দাস বলেন, ‘সকল শিক্ষককে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার বাবা কলেজের একজন শিক্ষক ছিলেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুব খুশি হতেন।’

Advertisement

স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক মাহমুদা বেগম। তিনি বলেন, ‘পরম রব্বুল আলামিনের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আমার অনুভূতি প্রকাশে রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতার একটি পঙ্‌ক্তি স্মরণ করছি—‘যে আমারে দেখিবারে পায়, অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি।’

বক্তব্যে এনাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোতাহার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষক মানে সংকটে নেতৃত্বদান ও ভবিষ্যৎ পুনর্গঠন। শিক্ষকের কোনো মৃত্যু নেই। জুলাই বিপ্লবের সময় সংকটে শিক্ষক সমিতি গঠিত হয়। এনাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহবুব তার বক্তব্যে বলেন, ‘তিনিই গুণী শিক্ষক, যিনি বাধাকে সুযোগে পরিণত করেন। শিক্ষক শুধু পাঠদান করেন না, তিনি সমাজেরও একজন নেতা। শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, একজন শিক্ষক বর্তমান ও ভবিষ্যৎও নির্মাণ করেন।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, উৎসবমুখর এই আয়োজনে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠানটি ছিল অনুপ্রেরণামূলক ও আবেগঘন।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement