Connect with us

প্রধান খবর

রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা ঠাকুরগাঁও

Published

on

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। গত ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনায় মৃত্যু এবং শনাক্ত বেড়েছে কয়েকগুন। রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় স্বাস্থ্য অধিদফতর উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

অধিদফতরের গতদিনের করোনা বিষয়ক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, একদিনে রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা ঠাকুরগাঁও। আর সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে নোয়াখালী জেলায়।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত একদিনে ঠাকুরগাঁও জেলায় শনাক্তের হার এসে দাঁড়িয়েছে ৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া রংপুরে নতুন রোগী শনাক্তের হার ৬২ শতাংশ, পঞ্চগড়ে ৫৪ শতাংশ, দিনাজপুরে ৫০ শতাংশ।

শনাক্ত বিবেচনায় আরও ঝুঁকিতে যেসব জেলা
রোগী শনাক্তের দিক থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর আরও রয়েছে রাজশাহী (৬২%), নওগাঁ (৫২%), বাগেরহাট (৫৪%), দিনাজপুর (৫০%) গাজীপুর (৫৭%), রাজবাড়ী (৫০%) ও বান্দরবান (৫০%)।

এছাড়াও নাটোর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাঙামাটি, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জে ৪০ শতাংশের ওপরে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

Advertisement

দেশে সংক্রমণের প্রথমদিকে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বেশি দেখা গেলেও এখন গাজীপুর ছাড়া অন্য জেলাগুলোয় সংক্রমণের হার অনেক কমে এসেছে।

কিশোরগঞ্জে এখন সংক্রমণের হার ১৮ শতাংশ। মুন্সীগঞ্জে ১৪ শতাংশ আর নারায়ণগঞ্জে ১৫ শতাংশ। তবে নরসিংদীতে এখনো সংক্রমণের হার ৩৩ শতাংশ। শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জে সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

গত একদিনে সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে নোয়াখালী জেলায়। এদিন ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ২৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের দিক থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ জেলার মধ্যে আরও রয়েছে ফেনী (১৩%), লক্ষ্মীপুর (১৮%)।

একসময় ঢাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হতো। কিন্তু গত কিছুদিনে ঢাকায় নতুন রোগী শনাক্তের হার কিছুটা কমে এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত একদিনে (৩১ জানুয়ারি) নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫০১ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৩ জনে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

Advertisement

একই সময়ে করোনাভাইরাসে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৯৪ জনে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

Advertisement
জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন4 weeks ago

ওষুধ খাওয়ার ভুলে অসুস্থতা

জ্বর বা মাথাব্যথা হলেই প্যারাসিটামল, অ্যালার্জির জন্য হিস্টাসিন কিংবা গ্যাসের ট্যাবলেট- এই ধরনের ওষুধগুলো আমরা হরহামেশাই খাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই।...

খাদ্য ও পুষ্টি4 weeks ago

শিশুদের জন্য লবণ যতটুকু দরকার

অতিরিক্ত লবণ শিশুর বৃদ্ধিতে বাধা প্রদানের পাশাপাশি অল্প বয়সে রক্তচাপের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। খাদ্যাভ্যাসে এমন পরিমাণ লবণ রাখতে হবে যা...

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন1 month ago

ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কেন

বয়সে টিংকু বেশ ছোট। এত ছোট যে মাঝেমধ্যে টিংকুর দাঁত পড়ে। একবার বিড়াল টিংকুকে আঁচড়ে দিল। চিকিৎসক বললেন যে র‌্যাবিসের...

Advertisement