কফি দেহে-মনে চনমনে ভাব আনার পাশাপাশি ক্ষুধাভাব কমিয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ক্যাথরিন জেরাটস্কি সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ব্লগে এরকমই তথ্য জানান।
ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই ব্লগের সূত্র ধরে আরও জানানো হয়, কফি ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে ইতিবাচকভাবে তড়ান্বিত করতে সহায়তা করে।
ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কফি সহায়ক
যদিও ওজন কমাতে কম খাবার খাওয়াকে উৎসাহিত করা হয় না। তবে অতিরিক্ত ক্ষুধা বৃদ্ধি পেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে কফি পান করা যেতে পারে। জেরাটস্কির মতে, “ক্যাফেইন ক্ষুধাভাব কমায় এবং খাবার গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস করতে সহায়তা করে।”
বিশ্রাম নেওয়ার সময়েও কফি ক্যালরি পোড়ায়
যারা নিয়মিত কাজ করেন তাদের মাঝে মধ্যে বিশ্রামের প্রয়োজন। দেহের ‘থার্মোজিনেসিস’ প্রক্রিয়ার ওপর কফি ভূমিকা রাখে যা দেহের বিপাক বাড়ায় ও চর্বি কমাতে সহায়তা করে। তাই বিশ্রামরত অবস্থাতেও ওজন কমাতে কফি সহায়তা করে।
ওজন কমাতে কফি প্রভাবক
জেরাটস্কির মতে ক্যাফেইন গ্রহণ ক্যালরি পোড়াতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়।
মনে রাখতে হবে কফির সঙ্গে চিনি, দুধ বা ক্রিম মিশিয়ে গ্রহণ করলে উল্টো ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পান করতে হবে দুধ-চিনি ছাড়া কালো কফি।
তবে কফি খেয়ে ওজন কমাতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা অনুসরণ করতে বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা গ্রহণ করা উচিত সবসময়।