মানুষ শব্দের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। শব্দের উৎপত্তি হয় কম্পনের মাধ্যমে। সঠিক শব্দ বা আওয়াজ ছাড়া মানুষ মনের ভাব সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না। কথা বলার জন্য কণ্ঠস্বরের গুরুত্ব অপরিসীম। কণ্ঠস্বরের সমস্যা মনের ভাব প্রকাশে বাধার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন কারণে কণ্ঠস্বরের এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব মানুষ উচ্চৈঃস্বরে বা চিৎকার করে কথা বলেন, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি।
যেসব পেশায় বেশি কথা বলতে হয়, তাদের ক্ষেত্রেও কণ্ঠস্বরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। Murphy (1967), Acute or chronic laryngitis may be caused by vocal misues and abuse. Vocal abuse is one cause of cancer of the larynx. অতিরিক্ত কথা বলা, ফুটবল, ক্রিকেট খেলা বা কোনো অনুষ্ঠানে ঠড়পধষ ধনঁংব প্রতিটি মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যার ফলে স্বরযন্ত্রে ক্যান্সারও হতে পারে।
বাসা, অফিস বা কর্মক্ষেত্রে সর্বদা এসি ব্যবহারও কণ্ঠস্বরের জন্য সমস্যা। ধোঁয়া বা ধুলাবালি ঠড়রপব-এর সমস্যা করে থাকে। ধূমপান করা, টনসিলে ইনফেকশন, এলার্জি, তৈলাক্ত খাবার, হরমোনজনিত কারণ, শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা, ঠাণ্ডাজনিত কারণ বা শারীরিক দুর্বলতার কারণেও কণ্ঠস্বরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে সব লোক আবেগপ্রবণ হয়ে যান অর্থাৎ কারও সঙ্গে কথা বলার সময় উত্তেজিত হয়ে যান, চিৎকার করে কথা বলেন বা জোরে ডাকাডাকি করেন তাদের ক্ষেত্রে এর সমস্যা হয়। গায়ক, এডভোকেট, ব্যারিস্টার, রাজনীতিবিদ, টিচার, সেলসম্যান, বাসের হেলপার-এসব পেশার লোক কণ্ঠস্বরের সমস্যায় বেশি ভোগে থাকেন। গায়ক উচ্চৈঃস্বরে গান করেন যার ফলে Vocal- G nodule nq| Singer’s nodule is basically caused by vocal abuse.
কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের অনেক কারণ রয়েছে। কণ্ঠস্বরের এই সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই vocal Hygiene মেনে চলতে হবে। স্পিচ থেরাপি একটি চিকিৎসা পদ্ধতির নাম। স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে সুমধুর স্বর ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব।
মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর
স্পিচ থেরাপিস্ট (ইএনটি), এমএসসি (সাইকোলজি)
বিএসএমএমইউ