শীতের সময় ত্বক থেকে ঘাম ও তেল নিঃসরণের পরিমাণ কমে যায়। ফলে ত্বকে ধুলোবালি, নোংরা জমতে শুরু করে। ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। এই সময় ত্বকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে কিভাবে মধু ব্যবহার করবেন, জানাচ্ছেন ফ্লেয়ার বিউটি সেলুনের শারমিন শহিদ
ত্বকের পরিচর্যায় বিভিন্ন ফেসপ্যাক তৈরি করতে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
জেনে নিন মধু দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন_
ত্বক উজ্জ্বল করতে কয়েকটি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। বাদাম পেস্ট করে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। ভালো করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন।
মুখের বলিরেখা ও দাগ দূর করতে ময়দা আর মধু পানি দিয়ে মিশিয়ে ভালো করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে অল্প পানি দিয়ে ভিজিয়ে ভালো করে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। একদিন পর পর করতে পারেন।
– তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শসা রস করে তার সঙ্গে মধু, লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তুলার প্যাড দিয়ে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ৩০ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
– মুখের মরা কোষ (ডেড সেল) দূর করতে প্রয়োজন স্ক্রাব। নিজেই তৈরি করে নিন স্ক্রাব। চালের গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে মুখটা ভালো করে ম্যাসাজ করুন। যখন ত্বক শুষ্ক লাগবে তখন হালকা গরম পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন।
– ত্বকের ময়েশ্চারাইজারের জন্য এক চা চামচ মধুর সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। মধু ও লেবুর এই প্যাক ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে।
– এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ১৫ ফোঁটা কমলার রস, এক টেবিল চামচ ওটস, এক টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে সতেজতা ফিরে আসবে।
– পেঁপের এনজাইম ত্বক পরিষ্কার করে। এক চা চামচ দইয়ের সঙ্গে এক চা চামচ মধু, তিন চা চামচ ওটমিল, শসা ও পেঁপের পাল্প মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন।
-বাইরে রোদ থেকে ফিরে মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে মধু ও আটা দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে মুখে ১০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধীরে ধীরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে দাগ থাকবে না।
-আপেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালে রোদে পোড়া ভাব কমে যায়।
টিপস
– ভালো মানের মধু কিনুন।
– মধু অনেক দিন ঘরে থাকলে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই একসঙ্গে বেশি মধু কিনবেন না।
– মধু রেফ্রিজারেটরে রাখলে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
– ত্বকে এলার্জি থাকলে মধু ব্যবহার না করাই ভালো। র্যাশ হতে পারে।
– এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু প্রতিদিন খেলে ঠাণ্ডা সমস্যা হবে না, ত্বকের ময়েশ্চার বজায় থাকবে।