ওয়াল্ড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ডের সমীক্ষা অনুযায়ী, বছরে প্রায় বিশ হাজার ব্রিটিশ মহিলা স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়িয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন। জীবনযাপনের কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে আট ভাগের এক ভাগ নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়িয়েছেন।
বিখ্যাত ব্রেস্ট ক্যান্সার সার্জন লিস্টার বার মন্তব্য করেছেন, ‘আসলে একক কোন কারণে এটি সংঘটিত হয় না।’ তিনি বলেন, ‘স্তন ক্যান্সার আপনার জিনের পরস্পরতা দ্বারা সংঘটিত হয়, পরিবেশ এবং জীবনযাপন এক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
এজন্য আপনি চাইলেই এ ঝুঁকি এড়াতে পারেন সহজেই। আসুন জেনে নেই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কিভাবে কমানো সম্ভব।
স্তনের ক্ষেত্রে সচেতনতা
স্তনে যদি কখনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখতে পান, যেমন আকৃতি ও জমিনে বিভিন্ন পরিবর্তন তাহলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ঘরের কাজে সময় দিন
বেশিরভাগ সময় দেখা যায় শহরের নারীরা আরাম আয়েশে দিন কাটায়। নিজেরা খুব কম কাজই করেন। কাজ করার জন্য বাসায় কাজের লোক রাখা হয়। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে ঘরের কাজে সময় দিন। রিসার্চ থেকে দেখা যায়, কর্মহীন নারীর চেয়ে কর্মে নিযুক্ত নারী ঝুঁকি এড়িয়েছে প্রায় শতকরা তেরো শতাংশ।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
বিভাগীয় প্রধান পাবলিক হেলথ ইন ব্রেকথ্রো ব্রেস্ট ক্যান্সার ও প্রখ্যাত ব্রেস্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ইলুনয়েড হিউজেস বলেন, ‘অতিরিক্ত মেদ স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই এখনই সময় মেদ কমান।’
অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
বিভিন্ন অ্যালকোহল সেবন থেকে দূরে থাকুন। সরাসরি মদ বা ড্রিংস পান ঝুঁকি বাড়ায়।
অতিরিক্ত ঔষধ সেবন ঝুঁকি বাড়ায়
অতিরিক্ত ঔষধ সেবন থেকে দূরে থাকুন। অতিরিক্ত ঔষধ সেবনে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
কর্মজীবীদের শিফটিং খেয়াল রাখুন
একনাগাড়ে সপ্তাহে নাইট ডিউটি কিংবা অতিরিক্ত কাজের প্রেসার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ বিষয়ে কর্মজীবীদের খেয়াল রাখা উচিত।