ভুলভাবে জীবন যাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, খাওয়া-দাওয়া ও পানি পানে অনিয়মের প্রভাব পড়ে কিডনির ওপর।সাধারণত কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি পানের পরিমাণ ঠিক আছে কি না, কোমর বা তলপেটে কোনো ব্যথা হচ্ছে কি না, মূত্রত্যাগের সময় কোনো জ্বালা বা সমস্যা হচ্ছে কি না— এগুলোর দিকেই খেয়াল রাখি আমরা।
তবে কিডনিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না বা অজান্তেই পাথর জমছে কি না তা টের পেতে গেলে এটুকু সাবধানতাই যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনিতে পাথর কোথায় রয়েছে, কতগুলো রয়েছে এ সবের ওপর এই অসুখের লক্ষণ নির্ভর করে।
তার মতে, যদি খুব ছোট আকারের অল্প কয়েকটা পাথর থাকে, তাহলে কোনো লক্ষণ নাও বোঝা যেতে পারে। তবে সংখ্যায় বেশি হলে বা আকারে বড় হলে অবশ্যই স্পষ্ট কিছু উপসর্গ থাকে। কেবল সাধারণ কয়েকটা লক্ষণের বাইরেও কিছু উপসর্গ থাকে।
লক্ষণ জানা থাকলে এই অসুখ নিয়ে আগেই সচেতন হওয়া যায়। এতে শারীরিক কষ্টও কিছুটা কমে যায়। আবার দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় অস্ত্রোপচার এড়ানোও যায় অনেক সময়।
কিডনিতে পাথর জমার বিষয়টি বোঝার উপায়
কিডনির সমস্যা হলে সবার আগে প্রভাব পড়বে প্রস্রাবে। রঙ বদল হলে খেয়াল রাখুন। লালচে বা বাদামি প্রস্রাব পাথর জমলেও হয়। সে কারণে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যা জানান দেয় কোমরের ব্যথা দিয়ে। যদিও নানা কারণে কোমর ও তলপেটে ব্যথা হতে পারে। তবে প্রস্রাবে জ্বালা, রঙ বদলে যাওয়ার সঙ্গে কোমর ও তলপেটে ব্যথা থাকলে সচেতন হোন।
জ্বর ঘুরেফিরে আসে কারো কারো ক্ষেত্রে। সঙ্গে বমি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। প্রায়ই মূত্রথলি বা প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে। তাহলে প্রথম থেকে সতর্ক হয়ে চিকিৎসা করান।
লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই কিডনির যত্ন নিতে প্রতি তিন মাস পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু রুটিন পরীক্ষা করান। সঙ্গে শরীরের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী পানি পান করুন নিয়ম করে।