অনেক সময় দেখা যায় দুর্ভাগ্যবশত অনেকের প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম হয়ে থাকে। যা একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত। কারণ কেউ চায় না তার তার সন্তানটি কোনো প্রকার ত্রুটি নিয়ে পৃথিবীতে আসুক।
অটিজম বা প্রতিবন্ধী কী কারণে হয় এটি সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নেয়ার কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে। নানান কারণে শিশু অটিস্টিক হতে পারে। এর মধ্যে কিছু জেনেটিক এবং কিছু পারিপার্শ্বিক কারণ রয়েছে।
চলুন জেনে নেয়া যাক প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নেয়ার কিছু কারণ-
> বিভিন্ন জেনেটিক ডিজঅর্ডারে অটিজম দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রেট সিনড্রোম, ফ্রেজাইল এক্স সিনড্রোম, ডাউন সিনড্রোম, নিউরাল টিউব ডিফেক্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত জেনেটিক মিউটেশন উল্লেখযোগ্য।
> বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে- গর্ভাবস্থায় ভাইরাস সংক্রমণ, ক্ষতিকর ওষুধ সেবন, গর্ভস্থ জটিলতা, পরিবেশ দূষণ, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ বা রেডিয়েশনের প্রভাবে অনেক সময় গর্ভস্থ ভ্রুণের মস্তিষ্ক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অটিজম হতে পারে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় মায়েদের রক্তক্ষরণ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, হাই প্রেশারের জন্যও নবজাতকের অটিজম দেখা দিতে পারে।
> কোনো ধরনের ভ্যাক্সিনের প্রভাবে শিশুদের অটিজম হবার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
> অটিজম ছেলে সন্তানদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পরিবারের একটি সন্তানের অটিজম হলে পরবর্তী সন্তানের অটিজম হবার আশংকা বেশি থাকে। কখনো কখনো অটিস্টিক শিশুদের মা বা বাবার আচার আচরণেও কিছুটা অসামঞ্জস্য থাকা বিচিত্র নয়।
> সময়ের আগেই জন্ম নেয়া নবজাতকের যাকে প্রি-টার্ম বেবী বলে তাদের মধ্যে অনেক সময় অটিজম হবার আশংকা বেড়ে যায়।
> তাছাড়া মা বা বাবার অত্যাধিক অল্প বয়স কিংবা অত্যাধিক বয়সে জন্ম নেয়া সন্তানদের মধ্যে অনেক সময় অটিজম বেশি দেখা দেয়।
প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতায় অটিজম হওয়ার শংকা বেড়ে যায় বলে গর্ভাবস্থায় মায়েদের সুষম খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক নানান রকম ভিটামিন মিনারেল সেবন, যেমন ফলিক এসিড, আয়রন, নুন্যতম চারবার শারীরিক চেক আপ ও প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির মাধ্যমে নবজাতকের অটিজম হবার আশংকা বহুলাংশে কমানো যায়।