যদিও ফলের বীজটিকে আমরা বড় অবহেলা করি। তাকে কোনও কাজেই লাগাই না। কমলার বীজের কিন্তু অ-নে-ক গুণ।
শীত আসছে ঘন হয়ে। কমলালেবুর (orange) মরশুমও। আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজার দখল নেবে টকটকে কমলা রঙের ফলটি। কোনোটা মিষ্টি গুড়। কোনোটা টক-মিষ্টিতে জারানো। শীতের দুপুরে মিঠে-কড়া রোদে শরীর মেলে খোসা ছাড়িয়ে একটা একটা করে কোয়া মুখে ফেলার আমেজই আলাদা। শুধু ফল নয়, ফলের খোসাও রূপচর্চা, ভালোমন্দ খাবার বানাতে কাজে লাগে। যদিও ফলের বীজটিকে (orange seeds) আমরা বড় অবহেলা করি। তাকে কোনও কাজেই লাগাই না। কমলার বীজের কিন্তু অ-নে-ক গুণ। তাই এবছরের শীতে কমলালেবু খাওয়ার সময় বীজগুলো ফেলে দেবেন না। দেখুন না, কতভাবে কাজে লাগে এই বীজ?
অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই বীজ শরীরকে বিষমুক্ত করতে যথেষ্ট সাহায্য করে। তাই শীতের মরশুমে রোজের ডায়েটে একটা কমলালেবু থাকা উচিত। সর্দি-কাশি কমাতে। শীতের উপসর্গের সঙ্গে লড়তে।
স্বাদ বাড়ায়
শীত মানেই কমলালেবু। শীত মানেই কেক-পেস্ট্রি-পিঠের দিন। কেক তৈরিতে এই বীজের তেল অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ। এর টক-মিষ্টি গন্ধ যেকোনও ডেজার্ট তৈরিতে কাজে লাগে।
এনার্জি বাড়ায়
স্বাদে তেতো। কিন্তু পালমিটিক, ওলেইক আর লিনোলেইক অ্যাসিড এতে থাকায় মিক্সিতে কমলালেবুর রসের সঙ্গে এই বীজ খেলে শীত কাবু আপনার কাছে।
কেশচর্চায়
এই বীজের তেল খুব ভালো কন্ডিশনার। ভিটামিন সি-র গুণে সমৃদ্ধ এই তেল স্ক্যাল্পে মাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। এতে চুল হয় স্বাস্থ্যে ঝলমল। গোড়া হয় মজবুত। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
পরিষ্কার রাখে
বীজের মধ্যে থাকা তেল খুব ভালো ক্লেনজার। মেশিনের গা থেকে তেলের ছোপ কমাতে, নাছোড় দাগ তুলতে এই তেল কাজে লাগে। এছাড়া, ঘরের দুর্গন্ধ কমাতেও সাহায্য করে।