চারপাশে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি, দেব কাঞ্চন, রাজ অশোক, ছাতিমসহ অসংখ্য ফুলের গন্ধ নিয়ে আগমন ঘটে হেমন্ত ঋতুর। বর্ষা ও শীতকালের মিলন ঘটায় হেমন্ত। এই সময় ঘাসের ওপর বিন্দু বিন্দু শিশির জমতে শুরু করে।
এ যেন মিলে যায় কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের উচ্চারণের সঙ্গে। তার ভাষায়- ‘হায় হেমন্তলক্ষ্মী, তোমার নয়ন কেন ঢাকা-/ হিমের ঘন ঘোমটাখানি ধূমল রঙে আঁকা।/ সন্ধ্যাপ্রদীপ তোমার হাতে মলিন হেরি কুয়াশাতে,/ কণ্ঠে তোমার বাণী যেন করুণ বাষ্পে মাখা।/ ধরার আঁচল ভরে দিলে প্রচুর সোনার ধানে।/ দিগঙ্গনার অঙ্গন আজ পূর্ণ তোমার দানে…।’
তবে হেমন্তের দানে প্রকৃতি পূর্ণ থাকলেও হিম শীতল পরশে মলিন হয়ে যায় ত্বক। এ সময় ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। বিশেষজ্ঞরা এই সময়টাতে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন। হেমন্তে ত্বকের বাড়তি যত্ন নিবেন যেভাবে-
১. সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে
অন্যান্য সময় ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে আপনি হয়তো স্কার্ব দিয়ে দিনে দুইবারের বেশি ত্বক পরিষ্কার করেন। কার্তিকের এই আবহাওয়ায় তা করলে কিন্তু আপনার ত্বকের ক্ষতি হবে। দিনে দুইবার ক্লিনজার দিয়ে ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করলে ত্বক থাকবে সতেজ ও সজীব।
২. পরিমিত খাবার
খাবার ত্বককে ভেতর থেকে শক্তি যোগায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ও আঁশ জাতীয় খাবার ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। ত্বক ভালো রাখতে সবুজ শাক-সবজি, দুধ, ডিম, ফল, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে।
৩. প্রাকৃতিক উপাদান
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বকের ক্রিম এবং মাস্ক তৈরি করতে পারেন। হলুদ, ময়দা, মধু, ওটস, দুধ, অ্যালোভেরা ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করুন। এতে ত্বক থাকবে ঝকঝকে।
৪. নিয়মিত ব্যয়াম
নিয়ামিত ব্যায়াম করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৫. পর্যাপ্ত পানি
ত্বক ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করুন। এবং যেসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি সেসব ফল বেশি খেতে হবে। বিশেষ করে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ত্বক ভালো রাখতে পানির কোন বিকল্প নাই।