সুন্দর ছিপছিপে মেদহীন শরীর পেতে কে না চায়! তবে বর্তমানে ব্যাস্ততায় ফাস্ট ফুড বা বাইরের খাবারের উপর ভরসা করে যাঁদের দিনের পর দিন কাটে, তাঁদের কাছে সুন্দর ছিপছিপে শরীর পাওয়াটা দিবা স্বপ্নের মতো! বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষেরই সবচেয়ে বড় শারীরিক সমস্যা হল স্থুলতা। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, জাঙ্কফুড ইত্যাদি কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন সিংহভাগ মানুষ।
তড়িঘড়ি ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডায়েট করে থাকেন। উপোস করে, দীর্ঘক্ষণ বাদে বাদে খেয়ে বা খাবারের পরিমাণ এক ঝটকায় অনেকটাই কমিয়ে দেন অনেকে। এ ভাবে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে গিয়ে অনেকেই নিজেদের শরীরের চূড়ান্ত ক্ষতি করে ফেলেন। ফলে মাসের পর মাস, হাজার চেষ্টার পরও ওজন কমাতে ব্যর্থ হন তাঁরা। ডায়েটের সম্পর্কে কয়েকটি ভ্রান্ত ধারনা বা ডায়েটে থাকাকালীন কয়েকটি ভুলের জন্য মাসের পর মাস চেষ্টা করার পরও ওজন কমাতে ব্যর্থ হন অনেকে।
আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…
১) অধিকাংশ মানুষই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই ডায়েট চার্ট ঠিক করে ফেলেন। নিজেদের মতো করে ডায়েট করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুল পদ্ধতিতে খাবার খাওয়া হয় যা শরীরের ‘ওয়াটার ওয়েট’ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেড়ে যায় শরীরের ফোলা ভাব। একই সঙ্গে কমিয়ে দেয় এনার্জি বা শারীরিক স্ফুর্তি। ফলে বাড়তে থাকে স্ট্রেস বা মানসিক-শারীরিক চাপ।
২) তড়িঘড়ি ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়েই দেন। সারা দিন বিস্কুট, আপেল বা একেবারে হালকা খাবার খেয়ে কাটিয়ে দেন। পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমাণ মতো পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে রোগা হওয়া সম্ভব নয়।
৩) যদি দেখেন সব নিয়ম ঠিকঠাক মেনে চলা সত্ত্বেও ওজন কমছে না, তাহলে হয়তো আপনার মোটার ধাত থাকতে পারে বা থাইরয়েডের সমস্যা। চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে থাইরয়েড ও হরমোন লেভেল পরীক্ষা করান।
৪) তড়িঘড়ি ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অতিরিক্ত শরীরচর্চা বা ওয়ার্ক আউট করতে শুরু করেন। আচমকা শরীরের উপর অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়বে। বাড়বে স্ট্রেস। ফলে ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
৫) শরীরের ‘ওয়াটার ওয়েট’ বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ স্ট্রেস বা মানসিক-শারীরিক চাপ। অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে বাড়বে শরীরের ‘ওয়াটার ওয়েট’। ফলে বেড়ে যায় শরীরের ফোলা ভাব। তাই ডায়েট বা শরীরচর্চার মাধ্যমে আগে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন।
৬) হজমের সমস্যা থাকলে শরীরের ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তেল, মশলাদার খাবার-দাবার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামেও। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বাড়বে হজমের সমস্যা। ফলে শরীরে জমবে অতিরিক্ত মেদ। বাড়বে ‘ওয়াটার ওয়েট’।