॥ ই-হেলথ২৪ ডেস্ক ॥ ভালো খাবার সবসময় আমাদের শরীরের জন্য ভালো। প্রত্যেকের নিকট তার ভালো খাবারের সংঙ্গা আলাদা। কিন্তু জিনিস আছে যা খাবার হিসেবে সবার নিকট সমান প্রিয়। এসব খাবার গুলো শুধু খেতেই মজা নয়, পুষ্টিগুণেও টইটুম্বর। শরীর ভালো রাখার জন্য ফলের জুড়ি নেই। তেমনি একটি ফল
কাঁঠাল ।
কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ও ভারি ফল হচ্ছে কাঁঠাল। কাঁঠাল একটি যৌগিক ফল। অর্থাৎ কাঁঠালের প্রতিটি কোষই একেকটি ফল। আর এসব কোষ মিলেই একটি আস্ত কাঁঠাল। কাঁঠালকে গ্রীষ্মকালীন ফল বলা হলেও পুরো গ্রীষ্ম ও বর্ষাকাল ধরে কাঁঠাল ফল পাওয়া যায়।
কাঁঠালের গায়ে কাঁটাযুক্ত পুরু খোসা থাকে। এর ভেতরে থাকে কোয়া। এ কোয়াই খাওয়া হয়। পাকা ফলের কোয়া হলুদ বর্ণের, মিষ্টি, সুস্বাদু , রসালো এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর। তবে কাঁঠাল বেশি খেলে কারও কারও পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কাঁঠাল কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। এ ছাড়াও কাঁঠালের বিচিও রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালের বিচি খুবই পুষ্টিকর।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে রয়েছে ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন, ১.০ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.১৫ মিলিগ্রাম রিবোফ্ল্যাভিন, ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৭৮৩ আইইউ ভিটামিন এ। এতে রয়েছে ৮৪ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ২৫.৮ গ্রাম শর্করা, ৬.৬ গ্রাম আমিষ, ৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম আয়রন, ১৭ আইইউ ভিটামিন এ ইত্যাদি উপাদান।
ভারতবর্ষ কাঁঠালের আদি নিবাস। পরে এখান খেকে কাঁঠাল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েষ্ট ইন্ডিজে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে প্রায় সব জায়গায়ই কাঁঠাল জম্মে। তবে বেশি কাঁঠাল হয় ময়মনসিংহ, গাজীপুর এবং সাভার জেলায়। বীজ থেকে কাঁঠালের চারা করা য়ায়। তবে কলমের মাধ্যমে কাঁঠাল গাছ লাগালে তাতে ভালো ফল পাওয়া যায়।