Connect with us

স্বাস্থ্য সংবাদ

জ্বর নিয়ে সাধারণ ভুলগুলো

অধিকাংশ ইনফেকশনজনিত রোগের ক্ষেত্রেই জ্বর হচ্ছে অন্যতম উপসর্গ। অনেকেরই হয়তো জানা আছে জ্বর কোনো রোগ নয়, জ্বর হচ্ছে রোগের একটি উপসর্গ। এই জ্বর নিয়ে ভুল ধারণা অনেক। শিশুদের জ্বর নিয়ে প্রায় সবাই টেনশনে থাকেন। অনেকের ধারণা সব জ্বরই শিশুদের জন্য খারাপ। এ ধারণার পুরোটা ঠিক নয়। শরীরে কোনো ইনফেকশনের শুরুতেই রোগ প্রতিরোধক তন্ত্রের প্রাথমিক কার্যক্রমের […]

Published

on

অধিকাংশ ইনফেকশনজনিত রোগের ক্ষেত্রেই জ্বর হচ্ছে অন্যতম উপসর্গ। অনেকেরই হয়তো জানা আছে জ্বর কোনো রোগ নয়, জ্বর হচ্ছে রোগের একটি উপসর্গ। এই জ্বর নিয়ে ভুল ধারণা অনেক।

শিশুদের জ্বর নিয়ে প্রায় সবাই টেনশনে থাকেন। অনেকের ধারণা সব জ্বরই শিশুদের জন্য খারাপ। এ ধারণার পুরোটা ঠিক নয়। শরীরে কোনো ইনফেকশনের শুরুতেই রোগ প্রতিরোধক তন্ত্রের প্রাথমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেখা দেয় এ জ্বর। সে অর্থে জ্বর হচ্ছে রোগ প্রতিরোধেরই একটি অংশ। জ্বরের মাধ্যমই ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীর।

অধিকাংশ জ্বরই তাই শিশুদের জন্য ভালো। তবে জ্বর যখন একটানা দীর্ঘায়িত হয় তখন বুঝতে হবে ইনফেকশনের কাছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পরাস্ত হচ্ছে।
জ্বরের জন্য সব সময়ই ওষুধ গ্রহণের দরকার নেই। জ্বরের কারণে অস্বস্তি হলে জ্বর কমানোর ওষুধ (যেমন—প্যারাসিটামল) গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে সাধারণত ১০২-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর উঠলে শরীরে অস্বস্তি বোধ হয়।
সব জ্বরের জন্য চিকিত্সার প্রয়োজন নেই। অনেকের ধারণা জ্বর হলেই চিকিত্সা নিতে হবে। এ ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। কী কারণে জ্বর হয়েছে, জ্বরের পেছনে কী ধরনের জীবাণু জড়িত রয়েছে তার ওপরই নির্ভর করে জ্বরের চিকিত্সা। কথায় আছে, ভাইরাসজনিত জ্বর—ওষুধে এক সপ্তাহে সারে, আর না খেলে সারে সাত দিনে। অর্থাত্ ভাইরাসজনিত এমনিতেই সেরে যায়। এর জন্য বিশেষ চিকিত্সা, মানে এন্টিবায়োটিক গ্রহণের কোনো প্রয়োজন নেই। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত কারণে জ্বর হলে সেক্ষেত্রে যথার্থ এন্টিবায়োটিক গ্রহণের দরকার রয়েছে।
অনেকেই রোগের কারণ না খুঁজে এবং সেই কারণ অনুসারে চিকিত্সা না করে শুধু জ্বর কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আসল কথা হচ্ছে, জ্বর কমানোর চেয়ে রোগের কারণ অনুসন্ধান করে তার চিকিত্সা করাটাই কিন্তু সমীচিন। প্রকৃত রোগ সেরে গেলেই জ্বর সেরে যাবে।
কারও কারও ধারণা, জ্বর হলে ভাত খাওয়া যাবে না। প্রকৃত পক্ষে এ ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। জ্বর হলে শুধু ভাত কেন প্রায় সব খাবারই খাওয়া যায়।
জ্বর হলে রোগীর শরীর লেপ-কাঁথা দিয়ে জড়িয়ে রাখেন অনেকেই, উদ্দেশ্য জ্বর কমানো। কিন্তু এ পদ্ধতির ফলে জ্বর কমে না। জ্বর কমানোর শরীর কুসুম গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে বা গামছা চিপে তা দিয়ে শরীর মুছে দেয়া উচিত। এভাবে কিছুক্ষণ করতে থাকলেই জ্বর কমে আসবে।
অনেক সময় অনেক সাধারণ বিষয়ের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবেই জ্বর হতে পারে। তাই জ্বর হলে প্রথমেই এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা ঠিক নয়। জ্বর হলে অপেক্ষা করে লক্ষ্য করতে হবে জ্বরের গতিবিধি। মনে রাখতে হবে জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন1 day ago

শীতে রোগবালাই বাড়ে কেন?

শীতের সময় বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এর মধ্যে সর্দি কাশি, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ বৃদ্ধি পায়। আজ ৬ জানুয়ারি এনটিভির...

জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন1 day ago

‘মেনোপজ’ পুরুষদেরও হয়! কোন বয়সে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে? লক্ষণই বা কী?

‘মেনোপজ’ বা ঋতুবন্ধ শব্দটা শুনলেই মাথায় আসে মহিলাদের কথা! তবে পুরুষেরও যে ‘মেনোপজ’ হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। ঋতুবন্ধের মতো অ্যান্ড্রোপজ...

প্রধান খবর1 day ago

শূন্যপদে নিয়োগ, সুপার স্পেশালাইজড পূর্ণ সচলের দাবিতে আন্দোলনে চিকিৎসকরা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) ও এর অধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে শূন্যপদ পূরণ না হওয়া ও অব্যবহৃত আধুনিক অবকাঠামো...

Advertisement