রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজের বয়স ধরে রাখতে চাইছেন। আর তাই দেশের গবেষক ও চিকিৎসকদের অ্যান্টি-এজিং ওষুধ তৈরির জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে কড়া নির্দেশ পাওয়ার পরই সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে গত জুনে একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানের চিকিৎসক ও গবেষকদের এমন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলা হয়েছে যা মানুষের বয়স বা বার্ধক্য রুখে দেবে।
এক মেডিকেল গবেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আমাদের সবচেয়ে বড় একটি কাজ দেয়া হয়েছে এবং কর্মকর্তারা প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে এটি বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। আমাদেরকে জরুরিভাবে গবেষণার সমস্ত অগ্রগতি পাঠাতে বলা হয়েছিল। গবেষকরা ক্রেমলিনের আধিকারিকদের দাবিতে হতবাক, কারণ এই জাতীয় ওষুধ তৈরি করতে কয়েক বছর এবং বিলিয়ন পুঁজির প্রয়োজন হতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কোষের ক্ষয় কমাতে তাদের ‘গবেষণাপত্র’ জমা দিতে বলা হয়েছে। উপরন্তু, গবেষকদের জ্ঞানীয় এবং সংবেদনশীল বৈকল্য প্রতিরোধকারী নতুন প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে বলা হয়েছে, সেইসাথে ইমিউন সিস্টেম সংশোধন করার পদ্ধতিগুলিও নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিজেদের গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যেতে ওপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে।
রাশিয়ান সিনেটের স্পিকার ভ্যালেন্টিনা মাতভিয়েনকো (৭৫), পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ (৭৪), এফএসবি সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধান আলেকজান্ডার বোর্টনিকভ (৭২) এবং এসভিআর স্পাই প্রধান সের্গেই নারিশকিন (৬৯) এর মতো মিত্ররা ঘিরে আছেন পুতিনকে। তাদের বয়সের ঘড়িও থামিয়ে দিতে চান পুতিন। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট গত বছর নির্বাচনে জিতেছিলেন যা তাকে কমপক্ষে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখার অধিকার প্রদান করে।
বিজ্ঞাপন
যার অর্থ তার মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় তিনি ৮০ বছরের দোরগোড়ায় থাকবেন। আর তাই বয়স কমাতে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ২০১৬ সালে পুতিন সেন্ট পিটার্সবার্গে বায়োক্যাড প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছিলেন যারা অ্যান্টি-এজিং পিল নিয়ে কাজ করছে। সেইসময় তার বয়স ছিল ৬৪ বছর। গত বছর পুতিনের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ক্রেমলিন এই খবরটিকে ‘ভুয়া’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। অনেকে অনুমান করেছিলেন যে পুতিনের শরীর ভালো যাচ্ছে না এবং মস্কো খবরটি চাপা দিতে চাইছে যাতে তার নেতাকে বিশ্বের সামনে দুর্বল না দেখায়।