Connect with us

নির্বাচিত

প্রণোদনা-স্বাস্থ্যবিমার পরিবর্তে ‘অপমানিত’ হচ্ছেন চিকিৎসকরা: এফডিএসআর

Published

on

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন দেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুরুতে তাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা ও স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো চলমান বিধিনিষেধে চিকিৎসকদের হয়রানি ও অপমান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসক হেনস্তাকারী পুলিশদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন এফডিএসআর (ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এন্ড রেসপন্সিবিলিজ)।

সোমবার রাতে অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে এসব দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, পুলিশ ডা. জেনির কাছে অন্যায়ভাবে মুভমেন্ট পাশ চেয়েছে। অথচ ডাক্তারদের মুভমেন্ট পাশ লাগবে না বলে ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আরো দেখেছি, পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত পাপিয়ার সাথে পুলিশ ডা. জেনির তুলনা করেছে, যা একজন নারী চিকিৎসকের জন্য চরম অবমাননাকর।

এফডিএসআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, একদল পুরুষ পুলিশ সদস্যরা একজন নারী চিকিৎসককে প্রকাশ্য রাজপথে হেনস্তা করছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্মুখ সারিতে লড়ছে, হাসপাতালে অসংখ্য কোভিড রোগীর চিকিৎসা শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ ডা. সাঈদা শওকত জেনির গাড়ি থামিয়ে তার কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চায়। এসময়ে নিজের পরিচয় ও গাড়িতে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক কর্তৃক ইস্যুকৃত মুভমেন্ট পাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত স্টিকার ও বিএসএমএমইউর লোগোসহ ডাক্তারের নামাঙ্কিত অ্যাপ্রন দেখালে সবকিছুকে ভুয়া বলে পুলিশ ডা. জেনিকে চরমভাবে উত্যক্ত করে। এর মাধ্যমে পুলিশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও চিকিৎসক সমাজকেও হেয় করেছে। এই ঘটনার কোন ভিডিও করা হয় নি। অথচ ডা. জেনিকে হেনস্তা করার মাধ্যমে উত্তেজিত করে ঘটনার আংশিক ভিডিও করা হয়েছে।

পুরো সংবাদ সম্মেলন দেখুন

Advertisement

ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, চিকিৎসকের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী বীর বিক্রমের কন্যার পরিচয় দেবার পরেও পুলিশ যেভাবে ঔদ্ধত্য ভাষায় কথা বলেছে, তা যুগপৎ আমাদের ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা ভাবতেই পারি না, একজন নারী চিকিৎসককে এতগুলো পুরুষ পুলিশ মিলে এমন ঔদ্ধত্যের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে? পুলিশের এই অন্যায়ের প্রতিবাদে সাহসের সাথে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা ডা. সাঈদা শওকত জেনিকে অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি করোনার এই দুঃসময়ে চিকিৎসক হেনস্তাকারী পুলিশদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে, মহিলাদের সাথে কথা বলবার জন্য রাজপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা পুলিশ নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

Continue Reading
Advertisement