ছোলা, সয়াবিন, কাঁচকলা ও চিনাবাদামের সংমিশ্রণে এক ধরনের শিশুখাদ্য তৈরি করেছেন আইসিডিডিআরবির নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ ও ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেফরি গর্ডন। এই উদ্ভাবনকে ২০১৯ সালের বিশেষ ১০টি বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি হিসেবে মনোনীত করেছে ‘সায়েন্স’ সাময়িকী। পিন্টু রঞ্জন অর্ককে এই উদ্ভাবনের পেছনের গল্প বলেছেন ড. তাহমিদ আহমেদ
অধ্যাপক ড. জেফরি গর্ডন
কয়েকটি কারণে পুষ্টিহীনতার শিকার হয় শিশু। যেমন—খাবারে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকলে, শরীর পুষ্টি গ্রহণ না করলে, খাবার শরীর ধরে রাখতে না পারলে কিংবা কোন শিশু বারবার (ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি) সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হলে। অনেক সময় দেখা যায়, স্বাভাবিক এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পরও শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। গবেষণা করতে গিয়ে দেখলাম, অন্ত্রে উপকারী মাইক্রোবায়োটা বা ব্যাকটেরিয়ার অপরিপক্বতার কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকে। ছোলা, সয়াবিন, চিনাবাদাম ও কাঁচকলা দিয়ে তৈরি সহজলভ্য একটি খাদ্য পরিপূরক শিশুদের খাওয়ালে এই অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটতে পারে। খাবার স্যালাইনের মতোই এই খাদ্য পরিপূরকটিও ঘরে বসেই তৈরি করা যাবে। এক দশকের দীর্ঘ গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় আমরা দেখেছি, শিশুদের নির্দিষ্ট কিছু সহজলভ্য খাবারের বিশেষ মিশ্রণ খাওয়ালে অপরিণত ব্যাকটেরিয়া পরিণত হয়। আর সেগুলো শিশুর শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে ও ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। দূর হয় অপুষ্টি।
এভাবে শিশুদের ঠিকমতো বেড়ে না ওঠা, মস্তিষ্কের বিকাশ না হওয়া, উচ্চতা অনুযায়ী যথাযথ ওজন না হওয়ার মতো সমস্যা কটিয়ে ওঠা যায়। অপরিণত এবং ভিন্নজাতের ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুই যে অপুষ্টিজনিত সমস্যার জন্য দায়ী—এটি একটি নতুন উদ্ভাবন, যেটা ভবিষ্যতে প্রচলিত অপুষ্টি দূর করার কার্যক্রমগুলোকে বদলে দিতে পারে।
একটু খুলে বলা যাক
অপুষ্টির দুটি বড় ধরনের রূপ আছে। একটা খালি চোখে দেখা যায়, অন্যটা যায় না, যেটাকে অনুপুষ্টি বা মাইক্রোনিউট্রিয়ান্টের ঘাটতি বলে। এটাকে হিডেন হাঙ্গারও বলা হয়। যেমন—রক্তস্বল্পতা, শরীরে আয়োডিন ও অন্যান্য ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি। আরেকটি বড় ধরনের অপুষ্টি আছে, যেটা চোখে দেখা যায়। যেমন—হাড় লিকলিকে বা কৃশকায় শিশু, খাটো শিশু, আরেক ধরনের শিশু আছে, যাদের ওজন বাড়ছে না। পৃথিবীতে পাঁচ বছরের কম বয়সী খর্বকায় শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ১৫ কোটি। কৃশকায় শিশুর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। আর কম ওজনের শিশু এই দুইয়ের মাঝামাঝি।
সায়েন্স জার্নালে জুলাই ২০১৯ সংখ্যার প্রচ্ছদ
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভেয়ারের (বিডিএইচএস) তথ্য মতে, গত ১০ বছরে দেশে খর্বকায় শিশু ৪৩ শতাংশ থেকে কমে ৩১ শতাংশে এসেছে। ১০ বছর আগে কৃশকায় শিশুর সংখ্যা ছিল ১৭ শতাংশ। এখন সেটা কমে ৮ শতাংশে এসেছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনা করলে দেখা যাবে এই সংখ্যাটাও উদ্বেগজনক।
সাধারণ শিশুর চেয়ে খর্বকায় শিশুর মৃত্যুঝুঁকি তিন থেকে চার গুণ বেশি। বেঁচে থাকলেও এসব শিশুর মস্তিষ্কের কোষ ভালোভাবে বিকশিত হয় না। ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কম হয়। সাধারণত তিন বছরের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলো তৈরি হয়ে যায়। এটা গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, তিন বছরের মধ্যেই অপুষ্টি সবচেয়ে বেশি হয় শিশুর। ছয় মাসের পর থেকে শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি আরো কিছু তোলা খাবার দিতে হয়; কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়া ওলটপালট ঘটে, তখনই শিশুর অপুষ্টিতে ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আইসিডিডিআরবিতে বেশ কয়েক বছর যাবত্ আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে ব্যয় কমিয়ে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিত্সা আরো সহজতর করা যায়।
জেফরি গর্ডন কাজ করছিলেন স্থূলতা নিয়ে
২০০০ সালে প্রথম আমরা অনুসন্ধানের চেষ্টা করি, কেন শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে। আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক জেফরি গর্ডন তখন ওভারওয়েট ওবেসিটি (স্থূলতা) নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি দেখলেন, স্থূলতায় ভোগা মানুষের অন্ত্রে এক ধরনের জীবাণু (মাইক্রোবায়োটা) বেশি থাকে। একদিন মিটিংয়ের ফাঁকে নাশতা করার সময় তাকে বললাম, ‘তুমি ওভারওয়েট ওবেসিটি নিয়ে কাজ করছ। জীর্ণ-শীর্ণ, কৃশকায় শিশুদের নিয়েই আমার কাজ। আমার মনে হয়, যদি বিশেষ মাইক্রোবায়োটা স্থূলতার জন্য দায়ী হয়, তাহলে চিকন স্বাস্থ্যের জন্যও নির্দিষ্ট মাইক্রোবায়োটা দায়ী থাকতে পারে।’ শুনে তিনি বললেন, ‘ইয়েস। তবে এটা কিভাবে দেখা যায়?’ তখন তাকে বললাম, তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের নিয়ে গবেষণা করছি আমরা। যৌথভাবে কাজ করার কথা বললে তিনি সানন্দেই রাজি হলেন। এটা ২০১০-১১ সালের ঘটনা।
কাজ শুরু হলো
দুই জায়গা থেকে শিশুদের অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ শুরু করলাম আমরা। মিরপুরের বস্তিতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী শিশু এবং আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হওয়া তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করলাম। মিরপুরে বাউনিয়া বাঁধ বস্তিতে ২০ বছর ধরে কাজ করছি আমরা। এ কাজটাও সেখানে শুরু করলাম। শুরুতে ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সী ৬০ জন স্বাস্থ্যবান শিশুর মল নিলাম। সেটা ডিএনএ সিকোয়েন্সিং করে মাইক্রোবায়োটা দেখার চেষ্টা করলাম। তারপর এলাম হাসপাতালে। সেখানে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মল নিলাম। স্বাস্থ্যবান ও তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মাইক্রোবায়োটার তুলনা করলাম। বিশ্লেষণে দেখা গেল, স্বাস্থ্যবান শিশুদের মলের মধ্যে বৈচিত্র্যময় ব্যাকটেরিয়া প্রচুর। অন্যদিকে অপুষ্টির শিকার শিশুদের অন্ত্রে মাইক্রোবায়োটা অপরিণত এবং কম বৈচিত্র্যপূর্ণ। চিকিত্সাকালীন এসব শিশুর মাইক্রোবায়োটা ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে; কিন্তু যে-ই চিকিত্সা ও খাবার বন্ধ করে দেওয়া হলো, তখনই এটা আবার খারাপের দিকে গেল। বুঝলাম, মাইক্রোবায়োটা বা জীবাণুর সঙ্গে অপুষ্টির একটা সম্পর্ক আছে। এখন এটা কারণ, না ফল তা জানা দরকার। সে জন্য আমরা আফ্রিকার মালাবিতে গবেষণা করি। সেখানে শিশুদের অপুষ্টির সমস্যা প্রকট। সেখানেও বাংলাদেশি বাচ্চাদের মতো মাইক্রোবায়োটার একই রকম প্যাটার্ন দেখা গেল। বুঝলাম, মাইক্রোবায়োটার দুর্বলতা হচ্ছে অপুষ্টির কারণ।
এবার প্রমাণের পালা
ফল তো জানা গেল; কিন্তু এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করতে হবে। এ জন্য এমন এক পরিবেশ দরকার, যেখানে পারিপার্শ্বিক কোনো প্রভাব থাকবে না। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সহজেই পাওয়া যায় এমন খাদ্যে ব্যাকটেরিয়াগুলো কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়—তা দেখতে বিভিন্ন প্রাণীর ওপর পরীক্ষা করলাম আমরা। তখন নিজের ল্যাবরেটরিতে প্রথমে ইঁদুর, পরে শূকরছানার ওপর পরীক্ষা করলেন জেফরি গর্ডন। শতভাগ জীবাণুমুক্ত খাঁচায় এই প্রাণীগুলো রাখা হলো। এদের জন্ম ও বৃদ্ধি পুরো প্রক্রিয়াটি করা হলো সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত পরিবেশে। স্বাস্থ্যবান এবং তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের যে মাইক্রোবায়োটা পেয়েছিলাম সেটা পাঠালাম আমেরিকায় জেফের ল্যাবরেটরিতে। দেখা গেল, যে ইঁদুরগুলো মিরপুরের মাইক্রোবায়োটা পেল তাদের ওজন সমানভাবে বাড়ছে। অন্যদিকে সেসব ইঁদুর অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মাইক্রোবায়োটা পেল তাদের ওজন কমে গেল। এতে প্রমাণিত হলো, আসলে মাইক্রোবায়োটার ফলই হলো অপুষ্টির কারণ। এখন এই যে লাখ লাখ জীবাণু আছে এর মধ্যে কোন জীবাণু খারাপ, কোনটা ভালো জানা দরকার। ডিএনএ সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বাচ্চাদের পেটে মোট ১৫ ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিত করলাম। এ ছাড়া প্রোটিনসহ রক্তের আরো কিছু নির্দেশকের গুণাগুণ পরীক্ষা করলাম—যেগুলো অপুষ্টির প্রভাব কম কি না, নির্দেশ করে।
ভাবলাম, এ ধরনের ভালো ব্যাকটেরিয়া যদি শরীরের মধ্যে বেশি হয়, তাহলে শিশুদের বৃদ্ধি ভালো হবে। তখন মিরপুরে মাসের পর মাস স্টাডি করলাম। পুরো খাবার টেস্ট করলাম। বছর দেড়েক এর পেছনে ব্যয় হলো। দেখা গেল, কিছু কিছু খাবার আছে যেটার সঙ্গে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির একটা যোগসূত্র আছে। অন্যদিকে কিছু কিছু খাবার আছে, যার সঙ্গে খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলো বাড়ে। ঠিক করলাম, ভালো খাবারের উপাদানগুলো দিয়ে একটা খাবার তৈরি করে টেস্ট করব।
আবার মিরপুর গেলাম
তখন আমরা ১৮ ধরনের খাবার তৈরি করলাম। এটার নাম দিয়েছিলাম মিরপুর-১, মিরপুর-২, মিরপুর-১৮ ইত্যাদি। আরো কিছু যাচাই-বাছাই শেষে চারটা খাবার আমরা বেছে নিলাম। ২০১৭ সালে আবার মিরপুরে গেলাম। সেখানে মাঝারি ধরনের অপুষ্টিতে ভুগছে এ রকম ৬৪ জন শিশু নিলাম। দৈবচয়ন ভিত্তিতে তাদের খাবারগুলো দেওয়া হলো। আসলে অনেক খাবারের কম্বিনেশন এটা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ছোলার আটা, কাঁচকলা, চিনাবাদামের পেস্ট, সয়াবিনের আটা। এর সঙ্গে ছিল তেল আর চিনি। এভাবে ১৫ দিন দিলাম। দেখার চেষ্টা করলাম—এসব শিশুর পেটে যে ভালো মাইক্রোবায়োটা আছে সেটা বাড়ে কি না। খাবার দেওয়ার আগে ও পরে এসব শিশুর মাইক্রোবায়োটার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলাম। এতে দেখা গেল, দুধের গুঁড়া এবং ভাত মেশানো পরিপূরক খাবারগুলোর চেয়ে ছোলা, কাঁচকলা, সয়াবিন ও চিনাবাদামের গুঁড়ার তৈরি খাবারের মিশ্রণ শিশুর শরীরের জন্য ভালো। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এই খাদ্য পরিপূরক শিশুদের রক্তে ভালো প্রোটিনের পরিমাণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
লক্ষ করার বিষয়, এই বিশেষ খাবারের মধ্যে দুধ ছিল না। ভেবেছি দুধ তুলনামূলক ব্যয়বহুল খাবার, সব জায়গায় সহজে মেলেও না। তাই দেখতে চেয়েছি দুধ ছাড়া ফল কী আসে। দেখা গেল, দুধ ছাড়া যে খাবার সেটাই প্রোটিনের দিক থেকে এগিয়ে।
স্বীকৃতি মিলল
গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে দুটি আর্টিকল পাঠালাম বিশ্বখ্যাত আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের (এএএএস) বিখ্যাত ‘সায়েন্স’ জার্নালে। আনন্দের বিষয় হলো দুটি আর্টিকলই তারা প্রকাশ করেছে। কিছুদিন আগে বিশ্বে ২০১৯ সালের সেরা গবেষণাগুলো নিয়ে একটি জরিপ করল সায়েন্স কর্তৃপক্ষ। সারা পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিজ্ঞানীদের ভোটে সেরা গবেষণার একটি তালিকা করল তারা। সেখানে ২০১৯ সালে পৃথিবীর সেরা ১০টি গবেষণার তালিকায় স্থান পেয়েছে আমাদের এই উদ্ভাবনটিও। এটি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের ‘সায়েন্স’ জার্নালের ‘ব্রেকথ্রু অব দ্য ইয়ার-২০১৯’ স্বীকৃতি পেয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, অপুষ্টি গোটা পৃথিবীর সমস্যা। সে সমস্যা সমাধানে এই গবেষণা সম্ভাবনা দ্বার খুলে দিয়েছে।
এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে
স্বল্পপরিসরের পরীক্ষায় ভালো ফল পাওয়ার পর এখন বড় পরিসরে উদ্ভাবনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে মিরপুর ও কুড়িগ্রামে। মোট ২৪৮ জন শিশুর ওপর এই উদ্ভাবনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। যেটা চলতি বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
সব কিছু ঠিক থাকলে অদূর ভবিষ্যতে অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবার কাছে এই হাতিয়ার তুলে দেওয়া সম্ভব হবে। আমাদের এই অনুসন্ধানকারী দলে জেফরি গর্ডন ছাড়াও রিসার্চার হিসেবে কাজ করেছে আরো ১০ জন। মাঠপর্যায়ে কাজ করছে আরো অনেকে।
অনুসন্ধানকারী দলে রিসার্চার হিসেবে কাজ করা ১০ জন তরুণের সঙ্গে ড. তাহমিদ আহমেদ, ছবি : সংগ্রহ

একজন তাহমিদ আহমেদ
জন্ম ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর ১৯৮৫ সালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন আইসিডিডিআরবিতে। এখন তিনি আইসিডিডিআরবির পুষ্টি ও ক্লিনিক্যাল সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তরুণ গবেষকদের গড়ে তোলার জন্য প্রতি সপ্তাহে তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে চলেছেন।
