অবশেষে সব ধরণের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এলো মশা নিধনের নতুন ওষুধ। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগে প্রথম ধাপে ওষুধ পরীক্ষা শেষ করার পর দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষা করা হবে। সেজন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং খামারবাড়ির উদ্ভিদ সংরক্ষণ শাখায় তা পাঠানো হয়েছে।
ডিএনসিসি ওষুধের মান পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ফলাফল নিয়ে আগেই কোনো ধরণের মন্তব্য করতে রাজি নয় ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়।’
এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া বায়ার করপোরেশনের কাছ থেকে নতুন ওষুধের নমুনা এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছি। প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষে খামারবাড়ি ও আইইডিসিআর’এ পাঠানো হয়েছে। দেখা যাক রিপোর্টে কী আসে।’
শুক্রবার (২ আগস্ট) ভারত থেকে আমদানি করা নতুন ওষুধের মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা চালায় ডিএসসিসি। নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে তিনটি খাঁচার প্রতিটিতে ৫০টি মশা রেখে পরীক্ষা করা হয়। দু-তিন ফুট দূর থেকে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। ৩০ মিনিটের পরীক্ষা শেষে প্রথম খাঁচার ৫০টি মশার মধ্যে ১৩টি, দ্বিতীয় খাঁচার ১৪টি এবং তৃতীয় খাঁচার ৯টি মশা জ্ঞান হারায়।
এ বিষয়ে কলকাতা থেকে আসা মশা গবেষক শুভ দে জানান, নতুন ওষুধে মশা মরতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। এ সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ মশার মৃত্যু হলে ধরে নেয়া হবে ওষুধের মান ঠিক আছে। আর বায়ার করপোরেশনের মশার ওষুধ মশা নিধনে কার্যকর। এই ওষুধে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয়, সেদিকটাও লক্ষ্য রাখা হয়।
জানা যায়, গতকাল ২৪ ঘণ্টা শেষে ওষুধের কার্যকারিতা পাওয়া যায়। পরে ওই ওষুধের নমুনা আইইডিসিআর ও খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে যা মতামত দেবেন, তারপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, এ ওষুধ ব্যবহার করা হবে কিনা।’