গোছল থেকে সাজগোজ- প্রতিটা ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো ভাবে পরিবেশের ক্ষতি করছি আমরা।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কয়েকটি অভ্যাস গড়ে তোলার পন্থা এখানে দেওয়া হল যা পরিবেশের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
স্পঞ্জ ব্যবহার না করা: উন্নত মানের ব্রাশ ব্যবহারে মেইকআপ সুন্দরভাবে বসে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। স্পঞ্জ কয়েক মাস ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যায়। আর সেটা ফেলে দিলে প্লাস্টিকের মতোই পরিবেশ দূষণ করে।
গোসলের সময় কমানো: গবেষণায় দেখা গেছে, গোসলের জন্য প্রতি মিনিটে ২.৫ গ্যালন পানি খরচ হয়। গোসল করার সময় কমিয়ে ১০ মিনিট করার চেষ্টা করতে হবে। অথবা সপ্তাহে কয়েক মিনিট কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। এছাড়াও চলমান কলের পানিতে গোসল না করে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানিতে গোসলের চেষ্টা করা উচিত। সে ক্ষেত্রে বালতির ব্যবহার বেশ ভালো।
শুষ্ক শ্যাম্পু ব্যবহার: চুল প্রাণবন্ত রাখার সহজ উপায় হল শুষ্ক শ্যাম্পু ব্যবহার। চুল ও মাথার ত্বকের নির্জীবভাব তাৎক্ষনিকভাবে দূর করতে এটা ভালো কাজ করে। এটা ব্যবহারে চুল ধোয়ার পরিমাণও কমে আবার চুলের ঝলমলে ও প্রাণবন্তভাবও বজায় থাকে।
আয়রন ব্যবহার না করা: চুল কোঁকড়া বা সোজা করতে তাপীয় পণ্যের ব্যবহার বাদ দিন। সাধারণ রোলার বা চুলের স্প্রে ব্যবহারের মাধ্যমে চুল কোঁকড়া বা সোজা করা ভালো। এতে চুলের স্বাসভাবিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
চুল ও ত্বকের যত্নে বড় আকারে প্রসাধনী কেনা: বাড়িতে ব্যবহারের জন্য আকারে বড় এমন প্রসাধনী কিনুন এতে অতিরিক্ত প্লাস্টিকের বোতল জমার পরিমাণ কমবে।
পরিবেশ বান্ধব পণ্য: বর্তমানে বাজারে পরিবেশ বান্ধব পণ অনেক পণ্য পাওয়া যায়। এগুলো পরিবেশ ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বক ও চুলও ভালো রাখে। একটু গবেষণা করে নিজের ও পরিবেশ বান্ধব পণ্য ব্যবহার শুরু করুন।
বিডসযু্ক্ত-প্লাস্টিক: অনেক ফেইস স্ক্রাব এবং টুথপেস্টে এই ধরনের ছোটগুঁটি যুক্ত প্লাস্টিক দেখা যায়। এগুলো পরে সমুদ্রে মিশে পরিবেশের ক্ষতি করে। তাই এই ধরনের পণ্যের ব্যবহার বাদ দিন।।
একক ব্যবহারের জিনিস বাদ দেওয়া: ফেইস ওয়াইপ্স, তুলার প্যাড এবং মুখ মোছার জিনিস একবার ব্যবহারের পরেই ফেলে দিতে হয়। পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন কাপড় বা ধুয়ে ব্যবহার করা যায় এমন তুলার বল ব্যবহার করুন। এভাবে একই পণ্য বার বার ব্যবহার করুন।