বয়স যাই হোক না কেন, সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজন মজবুত হাড়। সাধারণত বেশি বয়সে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমরা খুবই দুর্বল হয়ে পড়ি। শিশুরাও হাড়ের সমস্যায় ভুগতে পারে। সাধারণত ১০ থেকে ২০ বছর বয়সে হাড়ের গঠনে অত্যন্ত দ্রুত হয় এবং ৩০ বছরে গিয়ে তা স্থির হয়ে যায়।
আর সেই সময় যদি আমরা হাড়ের ক্ষয়রোধ সচেতন না হই তবে অস্টিওপোরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারি। শক্তিশালী ও মজবুত হাড়ের জন্য প্রয়োজন ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’ এবং পর্যাপ্ত শরীর চর্চা।
কোন কোন খাদ্য হাড়ের জন্য উপকারী তা আমাদের জানা উচিত-
দুধ : ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে দুধ। দুধে আছে ভিটামিন ‘ডি’, যা হাড়ের গঠন ও ক্ষয়রোধে একান্ত অপরিহার্য। শিশু, মহিলা ও গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন দুধ খাওয়া প্রয়োজন।
বীজযুক্ত সবজি : শরীরের হাড়ের গঠনে প্রয়োজনীয় আরেকটি উপাদান হচ্ছে ম্যাগনেসিয়াম। শরীরের শতকরা ৫০ ভাগ ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের গঠনে কাজ করে থাকে। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ইত্যাদি বীজযুক্ত সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম।
গাজর : আলফা-ক্যারোটিন, বিটা-ক্যারোটিন ও বিটা-ক্রিপ্টোজ্যানথিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে গাজর। কাঁচা, সিদ্ধ, তেলে ভেজে কিংবা রস করে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন হাড়ের গঠনে গাজর খুবই উপকারী।
শিম ও শিমজাতীয় সবজি : ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ শিম ও শিমজাতীয় সবজি খেলে শুধু হাড়ের মজবুত হয় নাÑ সেই সঙ্গে ক্যান্সার, হার্টের সমস্যা ও স্থূলত্ব বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে যায়।
মাছ : হাড়ের মজবুত গঠনে শুধু ক্যালসিয়াম থাকলেই হয় না, তার সঙ্গে প্রয়োজন ভিটামিন ‘ডি’। কারণ ভিটামিন ‘ডি’ শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের মাছ, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’। সামুদ্রিক স্যামন মাছ প্রতিদিনের ভিটামিন ‘ডি’-এর চাহিদা শতকরা ৯০ ভাগ পূরণ করতে সক্ষম।
সবুজ শাক-সবজি : সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে হাড়ের গঠনে প্রয়োজনীয় অনেক উপাদান। যেমনÑ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’ এবং ভিটামিন ‘কে’।
এ ছাড়া পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়মিত শরীর চর্চা, যা হাড়কে সচল ও মজবুত রাখতে একান্ত অপরিহার্য।