গ্রীষ্মের শুরুতেই বাজারে আসে কাঁচা আম বা কাঁচা-মিঠে আম। এই আম অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু এটি খেলে শরীরের উপর তার প্রভাব কেমন পড়ে? জেনে নিন আগে থেকে।
গ্রীষ্মের শুরুতে অনেকেই কাঁচা আম খান। নুন এবং লঙ্কা দিয়ে এই আম খেলে স্বাদবদল হয়। ফলে এটি খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন। যদিও এই আমে কোন কোন উপাদান আছে, সে কথা অনেকেই জানেন না। আর তাই এটিও জানেন না, এই আম খেলে কী হয়।
কাঁচ আমে এমন বহু উপাদান আছে, যা শরীরের নানা ধরনের কাজে লাগে। তাই পরের বার কাঁচ আম খাওয়ার আগে ভালো করে জেনে নিন, সেই উপাদানগুলি কী কী। আর কীভাবে এই আম খেলে আপনার শরীরের উপকার হতে পারে।
কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং তার সঙ্গে নানা ধরনের ভিটামিন। এর প্রত্যেকটিই শরীরের উপর নানা ধরনের প্রভাব ফেলে। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
কাঁচা আমের বেশ কিছু উপাদান অ্যাসিডের সমস্যা কমাতে পারে। যাঁরা অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা এই আম খেতে পারেন। তাতে এই সমস্যা কিছুটা কমবে। আর গ্যাসট্রিকের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? সকালে পেট পরিষ্কার হয় না? তাহলে কাঁচা আম খেতে পারেন। এর ফাইবার পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পেট সহজে পরিষ্কা হয়।
এর প্রচুর ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। যাঁরা গরমের সময়ে নানা ধরনের সংক্রমণে ভোগেন, তাঁদের জন্য কাঁচা আম খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
এর বেশ কিছু উপাদান চোখের জন্য বেশ ভালো। যাঁদে সারা দিন কমপিউটারে কাজ করতে হয় হয় বা মোবাইল ফোন ঘাঁটতে হয়, তাঁরা নিয়মিত কাঁচ আম খেতে পারেন। তাতে চোখের উপকার হবে।
শেষে একটি আশ্চর্য গুণের কথা না বললেই নয়। গরমে কাঁচা আম খেলে তাপের প্রভাবে কষ্ট কম হয়। মানে, গরম কম লাগে। তাই গ্রীষ্মকালে এই জাতীয় আম খাওয়া খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
গর্ভবতীদের জন্যও কাঁচা আম খুব ভালো। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই খেতে হবে এই আম। এতে যেমন হবু মায়ের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে, তেমন গর্ভে থাকা সন্তানেরও নানাবিধ উপকার হবে।
কাঁচ আম কেটে অল্প নুন দিয়ে খেতে পারেন। তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁদের নুন কম খাওয়াই ভালো। কাঁচা আমের চাকনি বা টকও খেতে পারেন। তাতেও উপকার পাওয়া যায়।