Home শরীরচর্চাশরীরের ওজন কমাতে পাওয়ার প্লেট

শরীরের ওজন কমাতে পাওয়ার প্লেট

শরীরের ওজন কমাতে পাওয়ার প্লেট

শরীরের ওজন কমাতে পাওয়ার প্লেট

॥ ই-হেলথ২৪ ডেস্ক ॥  স্বাস্থ্য সচেতন প্রত্যেক ব্যক্তিই সবসময় সুস্থ ও ফিট থাকতে চান। এজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম ইক্যুউপমেন্ট ব্যবহার করে থাকেন। দীর্ঘদিন একই মেশিনে বা ইক্যুউপমেন্ট ব্যবহারে মনে বিরক্তভাব চলে আসতে পারে। যাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন তাদের উচিত ব্যায়ামের কৌশল গুলো মাঝে মাঝে পরিবর্তন করা। এমন ব্যক্তিদের জন্য নতুন মেশিন পাওয়ার প্লেট। নতুন মেশিন, নতুন পদ্ধতি, যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফিট রাখতে সহায়তা করবে।

=) পাওয়ার প্লেটের পরিচয়
পাওয়ার প্লেট হলো এক ধরনের কম্পনীয় মেশিন যা সহজেই শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মেদ বে চর্বি জমে যায়, যা অন্যান্য পদ্ধতিতে সব অঙ্গের নির্দিষ্ট অংশ থেকে মেদ কমানো বেশ কষ্টসাধ্য বা মাঝে মাঝে সম্ভব হয় না। কিন্তু এই কম্পনীয় মেশিনের ব্যবহারের ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওজন ঝেড়ে ফেলে নিজেকে ফিট রাখা যায়। যাদের অফিসে বেশি কাজের চাপে দীর্ঘ সময় অফিসে থাকতে হয়, প্রাপ্ত অবসর সময়টুকুতে ব্যায়াম করতে ইচ্ছে করে না, তাদের জন্য পাওয়ার প্লেট একটি আর্দশ ব্যায়াম যন্ত্র। নিজের কিছু করার প্রয়োজন নেই শুধু এর উপর ধরে দাড়িয়ে থাকলেই পাওয়ার প্লেটই আপনাকে ঝাকিয়ে শেপে নিয়ে আসবে। মন সাথে শরীরও করবে চাঙ্গা।

=)পাওয়ার প্লেটের কার্যক্রম
সুইচ অন করার সাথে সাথেই পাওয়ার প্লেটের মাধ্যমে সৃষ্ট কম্পন সহজেই শরীরে সঞ্চালিত হয়। পাওয়ার প্লেটের উপরে দাড়ালে বুঝতে পারবেন ধীরে ধীরে কম্পন হয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঝাকুনির পরিমান বাড়তে থাকবে।

গতি বাড়ার সাথে সাথে আপনার ব্যালান্স ঠিক রাখতে একটু অসুবিধা হতে পারে, তাই এক্ষেত্রে ভালো করে ধরে থাকতে হবে এবং পুরো শরীরের ভার মেশিনের উপর ছেড়ে দিতে হবে। শরীর নিজে থেকেই মেশিনের কম্পনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে। এই যন্ত্রটি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় শক্তি প্রয়োগ করে, যার ফলে মাসল অনেক বেশি সক্রিয় হয়। অন্যান্য ব্যায়ামের তুলনায় যা অনেক বেশি। সব ধরনের ব্যায়াম করার পরই বিশ্রাম করার প্রয়োজন হয়।

কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলে শরীর আবার কার্যক্ষম হয়। এই যন্ত্রেও ব্যায়াম করার পর নির্দিষ্ট পরিমান সময় বিশ্রাম নিতে হয়। বিশ্রামের ফলে ক্লান্তিভাব কেটে যাবে। যেসব হরমোন শরীরকে তরতাজা রাখে তা কম সময়ে অনেক বেশি মাত্রায় নিঃসৃত হয়। তাই কখনো একটানা ২ মিনিটের বেশি এই যন্ত্রের উপরে থেকে ব্যায়াম করা উচিত নয়।

আবার এক দিনে ১০ মিনিটের বেশি এই যন্ত্রে ব্যায়াম করা উচিত নয়। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এই যন্ত্রে ব্যায়াম করতে পারেন।

=) যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
১) ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই ব্যায়াম উপযোগী পোশাক ও জুতা পড়ে নিবেন।

২) হার্টের রোগীদের জন্য এই ব্যায়াম উপযোগী নয়। তাই হাটের সমস্যা থাকলে এই যন্ত্র ব্যবহার করবেন না।

৩) ব্যায়াম করার সময় মাসলের দিকে ফোকাস রাখুন এবং মাসলকে সংকুচিত করুন। এতে আপনার ব্যায়াম আরো কার্র্যকর হবে।

৪) যেসব মহিলা প্রেগনেন্ট তারা এই যন্ত্রে ব্যায়াম করবেন না। এমনকি পিরিয়ডের সময়ও ব্যায়াম করতে এই যন্ত্র ব্যবহার করবেন না।

৫) এই যন্ত্রে ব্যায়াম করার আগে সঠিক পদ্ধতি জেনে নিবেন এবং নিয়ম মেনে ব্যায়াম করবেন।

৬)ব্যায়াম চলাকালীন সময়ে নিজের শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে চলতে দিন। শ্বাস বন্ধ করে রাখলে মাসল সহ পুরো শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়বে।

৭)শরীরে পানির অভাব হলে সঠিকভাবে কার্যক্রম চালাতে পারে না, ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই ব্যায়ামের আগে, মধ্যে ও পরে প্রচুর পানি পান করুন।

৮) আপনার শরীরের কোন হাড়ে যদি সমস্যা থাকে কিংবা কোন অঙ্গে অপারেশন করা হয়ে থাকে তাহলেও এই যন্ত্রে ব্যায়াম উপযোগী নয়।

৯) এই যন্ত্রে ব্যায়াম করার আগে একটু হাঁটা হাঁটি করে নিন। আর পাওয়ার প্লেটে ব্যায়াম করার জন্য অবশ্যই ভালো ফিটনেস এক্সপার্টের সাথে পরামর্শ করে নিন।

=) উপকার সমূহ
১) এই যন্ত্রে ব্যায়ামের ফলে খুব কম সময়ে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন।

২) শরীরের হরমোন নিংসরন বাড়াতে সাহায্য করে।

৩) দিনে মাত্র ১০ মিনিট সময়ই ব্যায়াম করার ফলে শরীর ও মন চাঙ্গা হবে।

৪) সাধারনত ব্যায়ামের তুলনায় এই যন্ত্রে ব্যায়াম শরীরকে অনেক বেশি তৎপর করে তোলে।

৫) মাসল ও টিস্যুকে মজবুত করে ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়। মেদ বা চর্বি কমিয়ে শরীরকে ঝরঝরে করে তোলে। 

You may also like