দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে জিজ্ঞাবাদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে রাজধানীর সেগুন বাগিচা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার পৃথক পত্রের মাধ্যমে আবুল কালাম আজাদকে আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট কমিশন কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে।
আজ দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও শেখ মো. ফানাফিল্যা পৃথক পত্রে তাকে দুদকে হাজির হতে বলেছেন বলে কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি-কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাবাদ প্রয়োজন। এ জন্য তাকে তলব করা হয়েছে।
এই পত্রে, আগামী ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়। পত্রে আরো বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে।
অপরদিকে দুদক পরচিালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ১৩ আগস্ট অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়েছে। এই পত্রে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতারের চেয়ারম্যান সাহেদসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি-কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে (আবুল কালাম আজাদ) তলব করা হয়েছে।
এছাড়া একই ঘটনায় শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত অপর এক পত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকে আগামী ১২ আগস্ট দুদকে তলব করা হয়েছে।