ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং এর অধিভুক্ত সমিতিগুলো দেশজুড়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। সমিতি পরিচালিত বিশেষায়িত ডায়াবেটিক চিকিৎসা কেন্দ্র ‘বারডেম হাসপাতাল’ এক্ষেত্রে পথিকৃৎ। সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত এক হিসাবে দেখা গেছে, এখন ৪৫ থেকে ৫০ লাখ রোগী সেবার আওতার বাইরে রয়েছে। এজন্য রোগীদের অসচেতনতা, নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে আসতে অনীহা ছাড়াও সেবা সম্প্রসারণে নানা সীমাবদ্ধতা দায়ী।
বারডেম ছাড়াও ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) ও হেলথকেয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এইচসিডিপি) ২৪টি কেন্দ্র এবং ৫৮টি অধিভুক্ত সমিতির মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ জেলায় ডায়াবেটিক সেবা সম্প্রসারিত রয়েছে। এ রোগীকে কোনো একটি নির্দিষ্ট সেবা কেন্দ্রের সঙ্গে রেজিস্টার্ড হয়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ রোগী রেজিস্টার্ড রয়েছেন। এর মধ্যে এককভাবে শুধু বারডেম হাসপাতালেই রেজিস্টার্ড রোগীর সংখ্যা প্রায় চার লাখ। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিক্ষিপ্তভাবে সেবা নিচ্ছেন আর প্রায় সাত লাখ রোগী। অর্থের বিনিময়ে সেবাদানের পাশাপাশি গরিব ও দুস্থ রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ইনসুলিন ও ট্যাবলেট বিতরণ এবং পরামর্শ সেবা প্রদানের বিস্তৃত কর্মসূচি রয়েছে। গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এ খাতে বারডেমের মোট ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। এটি বারডেমের সামগ্রিক ব্যয়ের প্রায় ৩৩ শতাংশ।