চিকিৎসায় বেসিক সাবজেক্ট হিসেবে ভাইরোলজি বিভাগের শিক্ষকদের প্রণোদনা ভাতা দিবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। দাপ্তরিকভাবে নন-প্র্যাকটিসিং ডিক্লারেশন দেখিয়ে এই প্রণোদনা নিতে হবে তাদের। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ভাতা দেওয়া হবে। এর আগে নয়টি বিভাগের শিক্ষকদের এই প্রণোদনা ভাতা দেওয়া হতো।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা-১) উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চিকিৎসা শিক্ষায় বেসিক সাবজেক্টের শিক্ষক সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে পূর্বের ধারাবাহিকতায় দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে বেসিক সাবজেক্ট হিসেবে ভাইরোলজি বিষয়ে পাঠদানরত শিক্ষকগণকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে নির্ধারিত হারে শর্তসাপেক্ষে মাসিক প্রণোদনা ভাতা প্রদানের সরকারি আদেশ নির্দেশক্রমে জারি করা হলো।
এর আগে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বেসিক সাবজেক্ট হিসেবে নয়টি বিভাগকে প্রণোদনা ভাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বিভাগগুলো হচ্ছে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফরেনসিক মেডিসিন, কমিউনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি ও অ্যানেসথেসিওলজি।
সোমবারের প্রজ্ঞাপনে ভাইরোলজি বিভাগ ওই প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অর্থ বিভাগের ২০১৯ সালের ১৮ আগস্টের স্মারক মারফত মঞ্জুরকৃত নির্ধারিত হারে শর্তসাপেক্ষে বেসিক সাবজেক্টের প্রণোদনা ভাতা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নবম গ্রেডে ১০ হাজার, অষ্টম গ্রেডে ১১ হাজার, সপ্তম গ্রেডে ১৩ হাজার, ষষ্ঠ গ্রেডে ১৫ হাজার, পঞ্চম গ্রেডে ১৬ হাজার, চতুর্থ গ্রেডে ১৮ হাজার এবং তৃতীয় গ্রেডে ২০ হাজার টাকা প্রণোদনা ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বেসিক সাবজেক্টের শিক্ষকদের মাসিক প্রণোদনা ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের থেকে দাপ্তরিকভাবে নন-প্র্যাক্টিসিং ডিক্লারেশন নিতে হবে। কোনো শিক্ষক এতে ব্যর্থ হলে বা প্র্যাকটিসিংয়ের সাথে জড়িত হলে তিনি এই ভাতার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, নিজস্ব রিসোর্স সিলিংয়ের মধ্যে এ ব্যয় নির্বাহ করতে হবে, এ বাবদ অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। এছাড়া এ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে এবং ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
এছাড়া এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।