স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু রায়হান দোলন সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনারাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।
নিয়োগের পর থেকে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে পড়েন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। নিয়োগের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেননি। অবশেষে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ডা. রোবেদ আমিনের পরিবর্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক রদবদল হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমকে সরিয়ে ১৮ অগাস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদন আমিনকে নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) শাখার পরিচালক ছিলেন।
নিয়োগের পর থেকেই রোবেদ আমিনের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেন বিএনপিপন্থি চিকিৎসক-কর্মচারীরা।
তার পদত্যাগের দাবিতে ১৯ অগাস্ট মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে এক সভায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সামনেই হট্টগোল করেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা।
ওই দিন থেকেই রোবেদ আমিন এবং আওয়ামীলীগপন্থি চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে রোবেদ আমিনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দেয়। আন্দোলনকারীদের বাধায় নিয়োগের পর থেকে একদিনও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসতে পারেননি অধ্যাপক রোবেদ।