ভাতা বৃদ্ধি ও বকেয়া পরিশোধসহ ৪ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ১১ থেকে শুরু হয় চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সারাদেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মেডিকেল ইনস্টিটিউট ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিসহ এই অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা বলেন, অবিলম্বে সরকারকে ৪ দফা দাবি মানতে হবে। দাবি না মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারী দেন তারা।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের যৌথ ৪টি দাবি হলোঃ
১. ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে।
২. পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা প্রদান করতে হবে।
৩. ১২টি প্রাইভেট ইন্সটিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে।
৪. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে।
এরআগে, গতকাল শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থান করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে দেখা করে ৪ দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
এ সময় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তোমাদের কাজটা হাতে নিলাম। কাল বা পরশু সময় করে একটি মিটিং করবো বিষয়টি নিয়ে। যত দ্রুত সমাধান করা যায় সেটি আমি করবো। এরপর তোমাদের জানাবো।
তিনি বলেন, আগে তোমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কি হয়েছে সেটি আমাকে বলবে না। আমি নিজে চিকিৎসক, কাজেই আমি তোমাদের সবকিছু জানি। সব চিকিৎসকের মানসম্মান নির্ভর করে তোমাদের ওপর। তোমরা যদি ভালো কাজ করো তাহলে সবাই আমার প্রশংসা করবে। দরকার হলে আমি এটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবো। কারণ তোমাদের ভালোভাবে রাখতে না পারলে আমি কাজ আদায় করতে পারবো না, জনগণ চিকিৎসা সেবা পাবে না। কাজেই তোমরা যে যার ঘরে চলে যাও।