বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত (বিএসএমএমইউ) দেড় হাজার নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসককে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের হাতে এই অর্থ তুলে দেন।
বুধবার (২১ জুন) বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যেক নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসককে বকেয়া বাবদ গত নয় মাসের শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়।
এ সময় অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের শিক্ষাবৃত্তি বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা আমিই করেছিলাম। আমি যখন উপ-উপাচার্য প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলাম তখন শিক্ষাবৃত্তি ১০ হাজার ছিল, পরে তা বাড়িয়ে ২০ হাজার করেছি।
নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রেসিডেন্ট, নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের অবশ্যই বিশ্বমানের বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। শিক্ষা গ্রহণের এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা নষ্ট করা যাবে না।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। রোগীদের বিশ্বমানের সেবাদানের মাধ্যমেই তাদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব। আমাদেরকে সকলে মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিতে হবে।
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোনো সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে সরকারকে বিব্রত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. স্বপন কুমার তপাদার, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) গৌর কুমার মিত্র, নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন তুহিন প্রমুখ।