সুস্থ জাতি তৈরি করতে স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে ঢাকার সিভিল সার্জন অফিস নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস্ উদ্দিন। জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে ঢাকা জেলা পুষ্টি কমিটি এবং ঢাকা সিভিল সার্জন অফিস এই অবহিতকরণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ডা. মো. শামস্ উদ্দিন বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ঢাকা জেলার ৫টি উপজেলার ৭০০ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিয়ে দিনব্যাপী ২০টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩টি স্কুল হেলথ ক্লিনিক নিয়ে ঢাকা জেলাতে বর্তমানে স্কুল হলেথ প্রোগ্রাম চালু আছে।
তিনি বলেন, আমরা খাদ্য নিয়ে ভাবলেও সাধারণত পুষ্টি নিয়ে খুব একটা ভাবি না। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের হার অনেক বেড়ে গেছে। আর এই অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং শারীরিক নিস্ক্রিয়তার কারণে অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে ৬৭ ভাগ মানুষ অসংক্রামক ব্যাধিতে মারা যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপনের লক্ষ্যে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার র্যালি এবং ঢাকার সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় কামরাঙ্গীর চর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বহির্বিভাগে মাতৃপুষ্টি বিষয়ে সচেতনতায় কাউন্সেলিং সেশন, বিকেলে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে মৌসুম অনুযায়ী ফলমুল ও শাকসবজি উৎপাদন সংক্রান্ত আলোচনা ও প্রতিযোগিতা।
২৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় মাঠ পর্যায়ে মা-বাবা, বউ-শাশুড়িদের নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন প্রতিযোগিতা, স্কুলপর্যায়ে পুষ্টি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ে পাঠদান, বিকেলে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
২৬ এপ্রিল তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে পুষ্টি মেলার আয়োজন। ২৭ এপ্রিল ঢাকা জেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিক এ আইওয়াইসিএফ সেবা প্রদান, গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে খাদ্য বৈচিত্র্য বিষয়ক এবং কিশোর কিশোরীদের পুষ্টি, ওয়াশ প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক কাউন্সেলিং। ষষ্ঠ দিনে বৃদ্ধদের পুষ্টি বহুপাক্ষিক অবহিতকরণ ও আলোচনা সভা এবং সুশীল সমাজের সবার সক্রিয় অংশগ্রহণে সমাপনী দিনে আলোচনা অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। ঢাকা জেলার ৫টি উপজেলায় একসাথে এই জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করা হবে।