॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে পাঁচটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার আইনের খসড়া। তৈরি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকায় অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করতে নানা সমস্যা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। গত জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অটিজম সম্মেলনের পর অগ্রগতি জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
বাংলাদেশ অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন বলেন, অটিস্টিক শিশুদের সম্পর্কে তথ্যের অভাব আছে। সম্মেলনের পর পাঁচটি মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কিছু করছে। চিকিৎসক ও কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে কমিউনিটির সবাইকে এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে।
অটিস্টিক শিশু চিহ্নিতকরণে সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে সায়মা হোসেন বলেন, ক্যানসারে আক্রান্ত একটি শিশুর চেয়েও অটিস্টিক শিশুদের শনাক্ত করার কাজটি কঠিন। তাই অটিজমে আক্রান্তদের চিহ্নিত করার আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দরকার। যাঁরা কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করেন, তাঁদের শেখাতে হবে অটিজম কী এবং কীভাবে তা নির্ণয় করা যায়। তিনি আরও বলেন, দেশে অটিজমে আক্রান্তের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও ধীরে ধীরে এই বিষয়ে সচেতনতা গড়ে উঠছে। এ-সংক্রান্ত কাজ এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয় জরুরি। সরকারি-বেসরকারি কাজের একটি সেতুবন্ধ গড়ে তোলাও দরকার।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ বলেন, অভিভাবকেরা অটিস্টিক শিশুদের সামনে আনতে চান না বলে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। এ বিষয়ে জরিপ শুরু হয়েছে।
অগ্রগতি সম্পর্কে বিএসএমএমইউর উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, এ বিষয়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। তবে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব রনজিত বিশ্বাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি অলকা গুহ, যুক্তরাষ্ট্রের অটিজম বিশেষজ্ঞ মাইকেল রোজানোক প্রমুখ।