প্রধান উপদেষ্টা কোনো কারণে অসুস্থ হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ পুনর্গঠন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) যাকে ‘নৈমত্তিক বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ পুনর্গঠনের অফিস আদেশের একটি কপি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর রাতে বিএসএমএমইউ এর উপাচার্যের বরাতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে সংবাদ কর্মীদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়।
সেই বার্তায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, “রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের চিকিৎসার জন্য এ ধরনের মেডিক্যাল টিম নিয়মিত গঠন করা হয়ে থাকে। এ নিয়ে কোনো ধরনের গুজব না ছড়ানোর জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।”
এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, “চিকিৎসকদের একটি দল সব সময় সরকার প্রধানের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়।”
তবে ওই অফিস আদেশটি তালিকাভুক্ত চিকিৎসক ছাড়া আর কারো ‘জানার কথা নয়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এটা কীভাবে হল, সেটি কাল আমি খুঁজে বের করব।”
সকালে বিএসএমএমইউর অ্যানেস্থেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামালের স্বাক্ষরে অফিস আদেশটি জারি করা হয়। এরপর তার কপি সামাজিক মাধ্যমে চলে যায়।
সেখানে বলা হয়েছে, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের একটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি রাত্রিকালীন চিকিৎসা সেবা দিতে সাত চিকিৎসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
উপাচার্য সায়েদুর রহমান রাতে বলেন, “এ ধরনের ‘রেসপন্স টিম সব সরকারের সময়ই থাকে। এবারের দলটি নতুন করে করা হয়েছে। আগে যারা ছিলেন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
“এই টিম আগেও ছিল। আগে যারা ছিলেন তারা সাবেক সরকারপ্রধানের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর কমিটি নতুন করে করা হয়েছে। আগে যারা ছিলেন তাদের জায়গায় অন্য চিকিৎসকদের দেওয়া হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন কাছাকাছি হওয়ায় এবার একটু ‘বাড়তি সতর্ক’ থাকার কথাও বলেন উপাচার্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন হিসেবে ঠিক করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনা, যেখান থেকে দেশের সর্বপ্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালটির দূরত্ব আধা কিলোমিটারেরও কম।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়, আগের দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ‘ত্বকের ছোটখাটো চিকিৎসা’ হয় মুহাম্মদ ইউনূসের। পরদিনই তিনি যথারীতি কাজে ফেরেন। এরপর গত শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপেও তিনি অংশ নেন।