![মুখে অনাকাক্সিক্ষত লোম মুখে অনাকাক্সিক্ষত লোম](https://i0.wp.com/ehealth24.net/bangla/wp-content/uploads/2011/06/image_188_34847.jpg?resize=534%2C247)
ডা. দিদারুল আহ্সান
মহিলাদের মুখে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা দিলে তাকে ‘হিরসুটিজম’ বলে। যে কোনও বয়সের মহিলার বেলায়ই ব্যাপারটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। এটি কোন কোন ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ বলেও ধরে নেয়া হয়। তবে অনেক সময় কোন রোগ ছাড়াও মুখে বাড়তি মাত্রায় লোম থাকতে পারে। বংশগত কারণেই এমনটি বেশি হয়ে থাকে। মহিলাদের শরীরে ‘এন্ড্রোজেন’ নামক হরমোনের আধিক্যই এ রোগের কারণ। এজন্য দুটি গ্রন্থিকে দায়ী করা হয়। একটি হল এডরিনাল এবং অপরটি নারীর ডিম্বাশয় বা ওভারি। অবিবাহিত মহিলাদের এ সমস্যা হলে তার অনিয়মিত মাসিক থেকে এমনটি হতে পারে। বিবাহিত হলে অনিয়মিত মাসিক এবং এর সঙ্গে সন্তান হওয়া বা না হওয়ার সম্পর্ক জড়িত। এ অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় লোমকে ইলেকট্রিক মেশিনের সাহায্যে স্থায়ীভাবে নির্মূল করার পদ্ধতি ‘ইলেকট্রইপিলেশন’ করা হয়ে থাকে। যদিও লেজার প্রযুক্তি আসার পর এখন আর এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। এতে সফলতা শতভাগ।
লেজার দিয়ে চিকিৎসা : এটি একটি কসমেটিক চিকিৎসা। অত্যাধুনিক এ পদ্ধতি বাংলাদেশেও সফলভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এটি লোমের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে চুল অঙ্কুরেই নষ্ট করে দেয়। এ থেকে নির্গত আলোকরশ্মি ত্বকের কোন ক্ষতি না করে ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চুল ধ্বংস করে।
ইনটেন্স পালস লাইট : এটি আইপিএল নামে পরিচিত। এ লেজার দুটি ভিন্ন ধরনের মিশ্রিত রশ্মির সৃষ্টি করে যা ত্বকের গভীরে ও উপরিভাগে অবস্থিত চুলকে অঙ্কুরেই নষ্ট করে। এ পদ্ধতিতে সময় অনেক কম লাগে। কারণ এ যন্ত্রের চিকিৎসা স্পট অনেক বড়। সাধারণত ৪ সপ্তাহ পরপর ৬-৮টি সিটিংয়ের প্রয়োজন হয়। এটি ব্যথামুক্ত, রক্তপাতহীন পদ্ধতি। এটি লোম দূরীকরণে শতভাগ কার্যকর একটি লেজার চিকিৎসা পদ্ধতি। বর্তমানে এ পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী কার্যকর পদ্ধতি।
কিউসুইচড্ এনডিইয়াগ : এটিও উপরের নিয়মে কাজ করে এবং সমানভাবে কার্যকরী।
ডা. দিদারুল আহ্সান
ত্বক ও লেজার বিশেষজ্ঞ
আল রাজি লেজার স্কিন ইউনিট
ফার্মগেট, ঢাকা।