Connect with us

প্রধান খবর

কিডনি রোগে আক্রান্তদের বেশিরভাগই নারী-শিশু

Published

on

বর্তমানে দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে ভুগছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার রোগী দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, কিডনি ফাউন্ডেশন ও ক্যাম্পসের যৌথ আয়োজনে বিএসএমএমইউতে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন তথ্য তুলে ধরেন।

‘সুস্থ কিডনি, সবার জন্য-সর্বত্র’ এই প্রতিপাদ্যে আজ ১৪তম বিশ্ব কিডনি দিবস পালন করা হচ্ছে।

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, কিডনি বিকল হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজন ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। আর এ দুটি পদ্ধতি খুবই ব্যয়বহুল। ফলে শতকরা প্রায় ৮০ জন রোগী কিছুদিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে। তার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।

এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে রোগ প্রতিরোধ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ খুবই জরুরি। পাশাপাশি মানসম্মত ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান এবং কিডনি সংযোজনের ব্যবস্থা করতে হবে।

Advertisement

কিডনি সংযোজনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, জীবিত মানুষের কাছে কিডনি পাওয়া খুবই দুষ্কর। এর বিকল্প হিসেবে মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি সংগ্রহ করা যেতে পারে। কিন্তু ধর্মীয় অনুশাসন ও মানসিকতা পরিবর্তন না হওয়ার কারণে এই কিডনি সংগ্রহ করারও বেশ জটিল। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে চাই সচেতনতা, প্রচার এবং মন মানসিকতার পরিবর্তন।

স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে কিডনি হাসপাতাল ও চিকিৎসকের সংখ্যা এখনও অপ্রতুল। অথচ প্রতি বছর রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠানে কিডনি সেবা দেয়া হচ্ছে, সেখানে চিকিৎসা সেবা আধুনিকায়নসহ আরও নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করা হবে।

কিডনি রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আলোচকরা প্রতিদিন মানুষের অলস জীবন যাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ধুমপান, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টরেল, বায়ু, পানি ও খাদ্যদূষণ, অসচেতনাকে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপত্বিতে আরও বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পস সভাপতি অধ্যাপক এম এ সামাদ, কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আর রশিদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব (স্বাচিপ) অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. ইসতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement