জাম দূর করে শারীরিক রোগব্যাধি

গরমের ফল জাম। খেতে সামান্য কষভাব রয়েছে। তবে জামের গুণ মারাত্মক। শুধু এর নরম মাংসল অংশটাই নয়, এর বীজটাও কাজে লাগে। কীভাবে এর প্রয়োগ করবেন চলুন জেনে নিই।

আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, জামের বীজ ভীষণ উপকারী। জামের বীজের মধ্যে রয়েছে জাম্বলিন নামে গ্লুকোসাইট। গ্লুকোসাইট স্টার্চকে শর্করাতে রূপান্তরের হাত থেকে বাঁচায়। এতে মধুমেহ নিয়ন্ত্রিত হয়।
কাঁচা জামের পেস্ট পেটের জন্য উপকারী। এতে পেটের রোগ সেরে যায়। খিদে কম হলে বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এই আচার পানির মধ্যে সমপরিমাণে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা খাবেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। খিদেও বাড়বে।
বর্তমানে কিছু দেশে জাম দিয়ে বিশেষ ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, যা ব্যবহারে চুল পাকা বন্ধ হবে।
গলার সমস্যার ক্ষেত্রে জাম ফলদায়ক। জাম গাছের ছাল পিষে পেস্ট তৈরি করুন। সেটি পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে গলা পরিষ্কার হবে, মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে, মাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে সেটিও কমে যাবে।
গ্রন্থনা : ই-হেলথ২৪ ডেস্ক

Exit mobile version