স্বাস্থ্য সচিব এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সোসাইটির মহাসচিব ডা. হাবিব-ই-মিল্লাত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনসম্পদে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে যে কোন অপারেশন, দুর্ঘটনায় আহত বা অন্য কোন রোগীর রক্ত প্রদানে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। রক্ত সংগ্রহে ব্যাপক প্রচার, জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও উপযুক্ত কাউন্সিলিং করতে পারলে যুবসমাজ রক্তদানে উৎসাহিত হবে এবং আমাদের প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা পূরণ হবে। তিনি সন্ধানীর আর্ত-মানবতার সেবাকে অতুলনীয় বলে উল্লেখ করেন। দুস্থ ও অসহায় রোগীর জীবন রক্ষা ও দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে তাদের মহতী অবদানের প্রশংসা করেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেশকিছু সংগঠন স্বাস্থ্য উন্নয়নের কাজ করছে। সন্ধানী তাদের অন্যতম। মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনে তাদের কার্যক্রম আরও বেশি উৎসাহব্যঞ্জক। নিরাপদ রক্ত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক বড় সমস্যা। স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানের মতো মহৎ কাজে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ডা. আফম রুহুল হক রক্তদান কর্মসূচীর মতো মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচীতেও অবদান রাখার জন্য বেসরকারী সংগঠনগুলোকে আহ্বান জানান। সন্ধানীর নতুন ভবনে দেশের প্রথম আধুনিক চক্ষুব্যাংক স্থাপন করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ডা. মিল্লাত বলেন, সন্ধানী এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৫০ হাজার ব্যাগ রক্ত ও ৩ হাজার ৫শ’ মরণোত্তর কর্নিয়া সংগ্রহ করেছে। দেশে বছরে চার লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা রয়েছে। সন্ধানী ও অপরাপর সংস্থাগুলো দুই লাখ ব্যাগ রক্তের যোগান দিতে।