যে ভাইরাসটি গত জানুয়ারি থেকে বিশ্বকে সন্ত্রস্ত ও আতঙ্কিত করে তুলেছে তার রূপটি আসলে কেমন, তা এতদিন জানা ছিল না সাধারণ মানুষের। অবশেষে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের মাইক্রোস্কোপিক রূপ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনআইএআইডি)।
বিজ্ঞান সাময়িকী লাইভ সায়েন্স জানায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গবিচ্ছিন্ন রাখা করোনা আক্রান্ত এক রোগীর রক্ত দেশটির মন্টানা অঙ্গরাজ্যের হ্যামিলটনে অবস্থিত রকি মাউন্টেইন ল্যাবটরিজে (আরএমএল) পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই বিজ্ঞানীরা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্ক্যানিং মেশিন ও ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে রক্তের কোষে সার্স-সিওভি-২ (করোনা ভাইরাস) বিস্তারের ছবি ধারণ করেন। পরে ল্যাবের ভিজ্যুয়াল মেডিক্যাল আর্ট বিভাগ ওই ছবি রঙিন করে তোলে।
এনআইএআইডি জানিয়েছে, নভেল করোনা ভাইরাসের আণবিক চিত্র ২০০২ সালের সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রম) ও ২০১২ সালের মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রম) ভাইরাসের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এনআইএআইডি এক ব্লগ পোস্টে জানায়, কাঁটাযুক্ত উপরিভাগের জন্যই এই ভাইরাসের নামে ‘করোনা’ যুক্ত হয়েছে। ল্যাটিন এই শব্দটির অর্থ ‘মুকুট’। কারণ ভাইরাস এ ধরনের কাঁটা বা মুকুটযুক্ত। এটির ডিএনএ বা আরএনএ প্রোটিনের একটি আবরণে ঢাকা থাকে। সাধারণ মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে এর পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখা যাবে না।
এদিকে, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চীনের সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক হাজার ৬৬৬ জন। নতুন করে ২৬৪১ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৪৯২ জন। চীন ছাড়াও এখন পর্যন্ত হংকং, ফিলিপাইন, জাপান ও ফ্রান্সে ৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।