Home জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুনমাথার একপাশেই কেবল ব্যথা?

মাথার একপাশেই কেবল ব্যথা?

by ডেস্ক রিপোর্ট, স্বাস্থ্য ডটটিভি

আমাদের পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে মাথাব্যথা একটি। অতিরিক্ত পরিশ্রম, রোদে বেশিক্ষণ থাকা, উচ্চস্বরে বেশি সময় কথা বলা ইত্যাদি অনেক কারণেই মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে মাথার একদিকে ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথার ধরন হতে পারে ভোঁতা কিংবা তীক্ষ্ণ।

কেন হয় এই মাথাব্যথা? এর কি নির্দিষ্ট কোনো কারণ রয়েছে? এই ধরনের মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ই বা কী?

মাথাব্যথার কারণ যখন স্নায়ুগত সমস্যা

বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুভিত্তিক কারণে মাথার একপাশে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে একটি কারণ হলো ‘অ্যাকসিপিটাল নিউরালজিয়া’। এ ক্ষেত্রে মাথাব্যথার অনুভূতি হয় দপদপানি, বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হওয়ার মতো। রোগীর কাছে মনে হয় কোনো কিছু মাথা ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করছে।

সাধারণত স্পাইনাল কর্ডের উপরিভাগ আর মাথার ত্বকের মাঝামাঝিতে থাকা স্নায়ুগুলো সংক্রমিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এমন মাথাব্যথা দেখা দেয়।

মাথাব্যথার আরেক ধরন হলো ‘টেমপোরাল আর্টেরাইটিস’। এ ক্ষেত্রে মাথা ও ঘাড়ে থাকা স্নায়ু প্রদাহের শিকার হয় এবং তার কারণে মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। এ সময় আক্রান্ত ব্যক্তির মাথার যে কোনো একপাশে ব্যথা হতে পারে। সে সঙ্গে দেখা দিতে পারে পেশি ব্যথা, অবসাদ ও চোয়াল ব্যথার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা।

দীর্ঘদিন ধরে ‘ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া’ সমস্যা থাকলেও একপেশে মাথাব্যথা হতে পারে। মাথার ত্বকে থাকা ‘ট্রাইজেমিনাল’ স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এই সমস্যা। চেহারায় সৃষ্ট আলোড়ন মস্তিষ্কের পৌঁছানোর কাজ করে এই স্থায়ু। এই কাজ যখন বাধাগ্রস্ত হয় তখন চেহারা ও মাথার একপাশে ব্যথা অনুভব হয়।

ওষুধের কারণেও হতে পারে মাথাব্যথা

নিয়মিত যে ওষুধ গ্রহণ করছেন তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও মাথার একপাশে ব্যথা হতে পারে। নিয়মিত কিছু ওষুধ বেশি পরিমাণে খেলে মাথাব্যথাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এমন কিছু ওষুধ হলো ‘অ্যাসিটামিনোফেন’, ‘অ্যাসপিরিন’, ‘আইবুপ্রফেন’ ইত্যাদি।

যখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত

মাথাব্যথাকে সাময়িক শারীরিক সমস্যা হিসেবেই ধরা হয়। কিছু সময় পর তা নিজে নিজে সেরে যায়। তবে মাথাব্যথা যদি অসহ্য পর্যায়ে পৌঁছে যায় তবে ওষুধ বা ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগাতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধই দিনে দুটির বেশি গ্রহণ করবেন না।

মাথাব্যথা যদি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়, সে সঙ্গে যদি জ্বর, ঘাড় আটকে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তিকে পরিবর্তন, শারীরিক দুর্বলতার মতো কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

You may also like