গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত অনেক রোগী রোজা রাখেন। এক্ষেত্রে তাদের একটু বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নাহলে সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আর সমস্যা বেশি থাকলে শুরুতেই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন।
রোজার সময় গ্যাস্ট্রিকের রোগী কতটা সুস্থ থাকবেন তা মূলত নিজের ওপরই নির্ভর করে। এজন্য বাছাই করে খেতে হবে। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে দেখে নিন রোজায় কীভাবে সুস্থ থাকবেন-
খাবার তালিকা থেকে যা বাদ দেবেন
তৈলাক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া, বেশি মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়।
ইফতারে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়াতে হবে ।
চা-কফি একদমই পরিহার করতে হবে।
বাইরের খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে ।
ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না কোনোভাবেই।
সেহরিতে বিরিয়ানি, কাবাব কিংবা ফাস্টফুড জাতীয় কোনো ভারি খাবার খাওয়া যাবে না।
খাবার তালিকায় যা রাখবেন
** ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে কমপক্ষে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত।
** ইফতারে সেদ্ধ, ঝোল, সালাদ, স্যুপ, ভাত এ ধরনের খাবার খেতে হবে।
** একবারে বেশি ইফতার না খেয়ে প্রয়োজনে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
** তারাবির পর অল্প হলেও খেতে হবে। খাবার মেন্যুতে সুষম খাবার রাখতে হবে। রাতের খাবার বাদ দেয়া যাবে না।
** ঘুমানোর দেড় ঘণ্টা আগেই খেয়ে নিতে হবে। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।
** সেহরির মেন্যুতে কম মশলার ঝোলযুক্ত খাবার রাখুন। সহজে হজম হয় এমন খাবার বেছে নিন সেহরির জন্য।