শারীরিক সক্রিয়তার জন্য একটি বিশেষ দিন, যদিও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিনই আমাদের শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা প্রয়োজন। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিনড্রোম, কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার এবং বিষণ্নতার হার ও ঝুঁকি কমায়। শারীরিক সক্রিয়তা বা পরিশ্রমের আরও অনেক সুবিধা রয়েছে।
গবেষণা অনুযায়ী, যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় নন, তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা চারগুণ বেড়ে যায়। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিনড্রোম, কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার এবং বিষণ্নতার হার ও ঝুঁকি কমায়। শারীরিক সক্রিয়তা বা পরিশ্রমের আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। অত্যধিক ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতা রোধ করার পাশাপাশি উদ্বেগ, চাপ বা বিষণ্নতার অনুভূতি হ্রাস করে এবং মানসিক অবস্থা ও সুস্থতার উন্নতিতে সহায়তা করে। শারীরিক সক্রিয়তার অন্যান্য সুবিধা হলো-এটি শক্তি বাড়ায়, ভালো ঘুম নিশ্চিত করে, হাড় ও হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে; চিন্তা ও স্মরণশক্তি এবং বিচারবোধ বাড়ায়, তরুণদের সুস্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করে।
অস্ট্রেলিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সাক্স ইনস্টিটিউট এর ‘ফোর্টিফাইভ অ্যান্ড আপ স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণা অনুযায়ী, যারা অতিরিক্ত ঘুমান, বেশি সময় বসে থাকেন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় নন তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নেই এমন ব্যক্তিদের তুলনায় চারগুণ বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যাও বলছে, ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ যেমন হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস এমন কি ক্যানসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার তথ্যানুসারে বিশ্বে প্রতি ৪ জনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটির নির্দেষিকা মেনে চলে না। বয়স যা-ই হোক না কেন, সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিতভাবে শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৫-১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রতিদিন ৬০ মিনিট বা ১ ঘন্টা মাঝারি থেকে ভারি মাত্রার ফিজিক্যাল একটিভিটি করা প্রয়োজন।
আজ ৬ এপ্রিল বিশ্ব ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটিস দিবস। যা বাংলায় বিশ্ব শারীরিক সক্রিয়তা দিবস বা বিশ্ব শারীরিক কার্যকলাপ দিবস। শারীরিক সক্রিয়তার জন্য একটি বিশেষ দিন, যদিও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিনই আমাদের শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০২ সালে এ দিবসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘Have a good time! be active!’-‘ভালো সময় কাটান! সক্রিয় থাকুন!’
ফিজিক্যাল একটিভিটি কি? কিভাবে করবেন সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. কাজী রুমানা আহমেদ।