Home জেনে রাখুন, সুস্থ থাকুন’করোনা সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধির সাথে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ জরুরি’

’করোনা সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধির সাথে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ জরুরি’

by স্বাস্থ্য ডটটিভি কনটেন্ট কাউন্সিলর

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারজয়ী লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী।

সোমবার (২৪ জনুয়ারি) স্বাস্থ্য ডটটিভির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে শরীরের ইউমিনিটি বাড়ানো জরুরি। সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাসহ ফলমূল ও বিভিন্ন রঙের শাক-সবজি খেতে হবে। এ সময় প্রোটিনের উপর বেশী গুরুত্ব দিতে হবে।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বলেন, এটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। এখন মূলত স্পাইক প্রোটিনের মতো এর জেনেটিক পরির্নগুলো হচ্ছে। যত বেশি মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে ততেই ধরন বাড়ছে। এটাই বৈজ্ঞানিক হিসাব। অর্াৎ একটি জীবানুকে যত বেশি বিস্তারের সুযোগ দেওয়া হবে, তত বেশি ধরন তৈরি হবে। এ কারণেই ভ্যাকসিন না নেওয়া ও স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ তোয়াক্কার অভাবে এই ধরনগুলো বাড়ছে। করোনার ধরন আরও আগেই কমে যেতো, যদি আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতাম।

তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরা, ভীড় ও জনসমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। ভ্যাক্সিনেশন চালিয়ে যেতে হবে। এতে মানুষের শরীরে আর্টিফিশিয়াল ইউমিনিটি তৈরি হয়। তিন থেকে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে কার্যক্রম চালাতে হবে, হাত ধুতে হবে এবং হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, ওমিক্রন এমন একটি পদার্থ যা ইউমিনিটি সিস্টেমকে এড়িয়ে চলে এবং মানুষের শরীরে আঘাত করে। যে কারণে বোঝার উপায় থাকছে না। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় না আসায় এই ভ্যারিয়েন্ট বাড়ছে।

বিখ্যাত ইমিউনোলজিস্ট, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা এন্থনি ফাউসির বরাত দিয়ে অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী বলেন, ‘অমিক্রন হতে পারে শেষ ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্টি অনেক মানুষের মধ্যে ছড়াবে, এর মাধ্যমে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাবে। হয়তো সামনের বছর দেখতে পাবো করোনা মহামারী বিশ্ব থেকে চলে গেছে। কিন্তু এটি সামান্য সর্দি-কাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো থাকবে। হতে পারে প্রতিবছর আমাদের ভ্যাকসিন নিতে হবে।

You may also like